৭ দিন পর কবর খুঁড়ে তোলা হলো চাচাতো ভাইবোনের লাশ
মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে আদালতের নির্দেশে গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলায় দাফনের সাত দিন পর কবর খুঁড়ে দুই শিশুর মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকালে আদালতের নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এসএম ফয়েজ ও সাদুল্যাপুর থানার ওসি মাসুদ রানা এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধির উপস্থিতিতে ওই মরদেহ তোলা হয়।
নিহতরা হলো- মিম (৪) আলদাদপুর গ্রামের দরিদ্র কৃষক নুরুন্নবী মিয়ার মেয়ে এবং জিহাদ (৭) একই এলাকার শিপন সরকারের ছেলে। তারা সম্পর্কে চাচাতো ভাইবোন।
জানা যায়, বাড়ির সামনে খেলতে গিয়ে গত ১৭ জানুয়ারি নিখোঁজ হয় শিশু মিম ও জিহাদ। পরে খোঁজাখুঁজির পর বাড়ির পাশের একটি পুকুর থেকে তাদের ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করে স্বজনরা। পর দিন ১৮ জানুয়ারি দুপুরে তাদের মরদেহ স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এদিকে তাদের দাফনের পরই এ ঘটনায় নানা রহস্য দেখা দেয়। এ নিয়ে গত ২১ জানুয়ারি রাতে দুই শিশুকে হত্যার অভিযোগ এনে শিশু মিম খাতুনের বাবা নুরুন্নবী মিয়া বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে সাদুল্যাপুর থানায় হত্যা মামলা করেন।
সাদুল্যাপুর থানার ওসি মাসুদ রানা বলেন, আদালতের নির্দেশে নিহত দুই শিশুর মরদেহ কবর খুঁড়ে উত্তোলন করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ গাইবান্ধা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু সেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় ময়নাতদন্ত সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। পরে নিহতদের মরদেহ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। ঘটনাটি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে দুই শিশুর মৃত্যুর জোট খুলবে বলে জানান ওসি।
মামলার বাদী শিশু মিমের বাবা নুরুন্নবী মিয়ার অভিযোগ, মিমের গলায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। তাদের ধারণা, হত্যার পর মরদেহ ফেলে রাখে দুর্বৃত্তরা। পানিতে ডুবে মিম ও জিহাদের মৃত্যুর ঘটনাটি রহস্যজনক।
তাই রহস্য উন্মোচন ও প্রকৃত হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবি করেন তিনি।
তা ছাড়া ঘটনা ধামাচাপা দিতে স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী তাদের চাপ দেয় বলেও অভিযোগ করেন নুরুন্নবী।
রাজশাহী বার্তা/admin