সরকার কখনও ভিন্নমত দমনের চেষ্টা করেনি: হাছান মাহমুদ
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘সরকার কখনও ভিন্নমত দমনের চেষ্টা করেনি, করবেও না। বরং সরকার মনে করে, ভিন্নমত অবশ্যই থাকবে। সংবিধানে সে অধিকার দেয়া আছে এবং ভিন্নমত দেশ পরিচালনায় সহায়ক। কিন্তু বিএনপি নেতারা সে সুযোগ নিয়ে গুজব ও বিদ্বেষকারীদের পক্ষ অবলম্বন করছেন।’
শুক্রবার বিকালে রাজধানীর ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে চলচ্চিত্র নির্মাতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী এসময় করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত চলচ্চিত্র শিল্পকে সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে পূর্বের তুলনায় বেশি সংখ্যক চলচ্চিত্রকে মন্ত্রণালয়ের অনুদান দেবার সিদ্ধান্তের কথা জানান। চলচ্চিত্র নির্মাতাদের মধ্যে অমিতাভ রেজা চৌধুরী, গিয়াসউদ্দিন সেলিম, পিপলু খান ও আবু শাহেদ ইমন বৈঠকে অংশ নেন।
বিএনপি নেতা-কর্মীদের করোনায় আক্রান্ত হওয়া নিয়ে তাদের মহাসচিব মির্জা ফখরুলের বক্তব্য প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান বলেন, আমরা চাই না কেউ আক্রান্ত হোক। আক্রান্তদের দ্রুত আরোগ্যও আমাদের কামনা। আওয়ামী লীগের অন্তত ১০জন কেন্দ্রীয় নেতাসহ কয়েক হাজার নেতাকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তবে লক্ষণীয় যে, মির্জা ফখরুল সাহেবের কথাতেই তাদের সংখ্যা নিয়ে সন্দেহের ছায়া আছে।
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মির্জা ফখরুল সাহেবের কথায় মনে হয়, বিএনপি গুজব ও বিদ্বেষ সৃষ্টিকারীদের পক্ষ নিচ্ছে।
‘মহামারীতেও সরকার ভিন্নমতের প্রতি বেপরোয়া’ -মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন মন্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তথ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘ফখরুল সাহেব কোনটিকে ভিন্নমত বলছেন, সেটি বড় প্রশ্ন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব-বিদ্বেষ ছড়ানো যদি ভিন্নমত হয়, তাহলে ফখরুল সাহেবের বক্তব্য হচ্ছে যারা গুজব ও বিদ্বেষ ছড়ায় তাদের সাফাই গাওয়া৷ বিএনপি নেতারা যে সকাল-বিকাল-সন্ধ্যা সরকারের যথেচ্ছ সমালোচনা করতে পারছেন, সেখানে মিথ্যাচারও করা হচ্ছে, ভিন্নমতের প্রতি সরকার সহনশীল না হলে তো এটি হতো না।’
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘একজন মানুষ মৃত্যুবরণ করার পর তার বিষয়ে যেভাবে অশালীন মন্তব্য করা হয়েছে, সেগুলো ভিন্নমত নয়, বিদ্বেষ’।