বগুড়ার আদমদীঘিতে পুত্রবধূকে হত্যাচেষ্টায় অভিযুক্ত শ্বশুরের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
বগুড়ার আদমদীঘিতে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা পুত্রবধূকে হাত-পা ও মুখ বেঁধে নির্যাতন করে ঘরের বারান্দায় পুঁতে হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি সিরাজুল ইসলামের (৫০) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামের খাড়িরপাড় থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। ওই মামলায় সিরাজুলের স্ত্রী রেহানা বেগম ও ছেলে নাঈম হোসেন কারাগারে রয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে নাঈম নওগাঁর এনায়েতপুরের শহিদুল ইসলামের মেয়ে ফাল্গুনিকে বিয়ের পর থেকে কারণে অকারণে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন। গত ১২ আগস্ট বিকেলে ফাল্গুনি প্রতিবেশী চাচি শাশুড়ির বাড়িতে যাওয়ায় তার স্বামী ও শাশুড়ির সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে স্বামী নাঈম ফাল্গুনিকে ঘরে আটক করে হাত-পা ও মুখ বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় মারপিট করে। এরপর হত্যা করে মরদেহ গুমের উদ্দেশ্যে ঘরের বারান্দায় মাটি কেটে কবর তৈরি করে। ঘটনা জানতে পেরে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে ঘরের জানালা ভেঙে ফাল্গুনিকে উদ্ধার ও নাঈমকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।
এ মামলায় ফাল্গুনির শ্বশুর সিরাজুলকে তিন নম্বর আসামি করা হয়। ১০ দিন পালাতক থাকার পর ওই গ্রামের খাড়িরপাড়ে জঙ্গলের মধ্যে একটি কদম গাছের সঙ্গে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় সিরাজুলের মরদেহ দেখতে পায় গ্রামবাসী। পুলিশ খবর পেয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
আদমদীঘি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জালাল উদ্দীন জানান, পুত্রবধূকে হত্যা চেষ্টা মামলার তিন নম্বর আসামি ছিলেন সিরাজুল। খবর পেয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে।
রাজশাহী বার্তা/admin