চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাজারে শেষ মুহুর্তে চাহিদা বাড়ছে আকর্ষণীয় আশ্বিনা আম

প্রযুক্তির ব্যবহার আর চাষের কলাকৌশলে পরিবর্তন করার কারণে স্বাদেও পরিবর্তন এসেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আশ্বিনা জাতের আমে। দেখতে আকর্ষণীয় আর খেতে টকভাব দূর হয়ে মিষ্টিভাব আসায় দিনকে দিন কদর বাড়ছে এই আমের। মৌসুম শেষেও তাই বাজারে প্রতিদিনই চাহিদার তুঙ্গে থাকছে আশ্বিনা।
মৌসুম শেষ হলেও এখনও চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাগান ও হাটবাজারে দেখা মিলছে আশ্বিনা জাতের আমের। কয়েক বছর আগেও এই আম নিয়ে খুব বেশি আগ্রহ ছিল না ক্রেতাদের। অথচ চলতি বছর পছন্দের শীর্ষে থাকায় বাজার ভরেছে আশ্বিনা আমে। বেচাকেনাও হচ্ছে বেশ ভালো।
ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা জানান, আগে এই আম স্বাদে টক ছিল। এখন খেতে বেশ মিষ্টি লাগে। এ কারণে আগে বেচাকেনা ও দাম কম হলেও এখন মৌসুমের শেষ দিকে এসে এই আমের দাম ও চাহিদা বেড়ে গেছে।
বাগান মালিকরা জানান, ফ্রুট ব্যাগিং প্রযুক্তি আর চাষের কৌশলগত উন্নয়নে দেখতে আকর্ষণীয় হওয়ার পাশাপাশি টক স্বাদের আশ্বিনা আমে এসেছে মিষ্টভাব। ফলে আমস্বত্ত্ব, আচার তৈরির বদলে সরাসরি খাওয়ার উপযুক্ত হওয়ায় বেড়েছে এ আমের চাহিদা। আগের তুলনায় উৎপাদন বৃদ্ধি ও বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় খুশি সংশ্লিষ্টরা। আমের স্বাদের পরিবর্তন হয়েছে। উন্নত হয়েছে মান। রঙটাও বেশ পরিষ্কার হচ্ছে; দেখতেও সুন্দর লাগে। আর পাকা আম খেতে বেশ মিষ্টি।
ব্যাগিং করার কারণে এই আমের যে টকভাব ছিল তা একটু কম হচ্ছে উল্লেখ করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম জানান, আশ্বিনা আম উৎপাদনের কৌশল আরও উন্নত করার সঙ্গে সঙ্গে বাগান মালিকদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে কাজ করছে কৃষি বিভাগ।
জেলার কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, প্রায় ৩৪ হাজার হেক্টর আমের বাগানের দশ শতাংশে আশ্বিনা জাতের আম হয়।
রাজশাহী বার্তা/admin