তাবিথ আউয়ালের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট
নির্বাচনী হলফনামায় সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগ এনে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়রপ্রার্থী তাবিথ আউয়ালের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দীন চৌধুরী মানিক রিট আবেদনটি করেন।বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, রোববার বাদী হয়ে এ রিট ফাইল করেছি। আগামীকাল (সোমবার) বিচারপতি জে বি এম হাসানের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে এ আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।তিনি জানান, রিটের পক্ষে আইনজীবী হিসেবে থাকবেন অ্যাডভোকেট কামরুল হক সিদ্দিকী ও অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু।এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ দিয়েছিলেন বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।ওইদিন নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের তিনি সাংবাদিকদের বলেছিলেন, সিঙ্গাপুরের কোম্পানি এনএফএম এনার্জি (সিঙ্গাপুর) প্রাইভেট কোম্পানি লিমিটেডের তিনজন শেয়ারহোল্ডার আছেন, তাদের একজন তাবিথ আউয়াল। অন্য দু’জন তার সহযোগী। তিনজন মিলে এই কোম্পানির সব শেয়ারের মালিক। এই কোম্পানির মূল্য দেখিয়েছে দুই মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি।
‘এটা বিশ্বের যেকোনো দেশের টাকার অর্থেই এটা বেশ বড়। এই কোম্পানির কথা তাবিথ আউয়াল তার হলফনামায় উল্লেখ করেননি। আইন হচ্ছে তার ও তার পরিবারের সব সদস্যের সব সম্পদ হলফনামায় দেখাতে হবে। কিন্তু তাবিথ আউয়াল দেখাননি।’বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী বলেন, তাবিথ আউয়ালের মনোনয়ন আইনত বাতিল হতে বাধ্য। এখন সমস্যা হচ্ছে এই, সময়টা খুব কম। যদি আসলেই জিতে যায়, তাহলে কিন্তু উনি (তাবিথ) টিকতে পারবেন না, যদি তার বিরুদ্ধে এই অভিযোগগুলো প্রমাণিত হয়। কারণ নির্বাচনের পরই এই প্রশ্ন আসবে, তখন যদি প্রতিষ্ঠিত হয় যে উনি মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন হফলনামায়, তাহলে উনি আর থাকতে পারবেন না। তার সিট শূন্য হয়ে যাবে। আবার নতুন নির্বাচন হবে।উল্লেখ্য, ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এবার দুই সিটিতেই ভোটগ্রহণ হবে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)।