রাজশাহী সার্কিট হাউস সড়কে ধূমপানের জন্য ভাইরাল সেই তরুণীকে হেনস্থার প্রতিবাদে ‘প্রতীকী ধূমপান’

সময়: 5:42 pm - December 12, 2020 | | পঠিত হয়েছে: 604 বার

রাজশাহী সার্কিট হাউস সড়কের পাশে বসে ধূমপানের কারণে গত রোববার এক তরুণীকে হেনস্থা করার প্রতিবাদে শুক্রবার বিকালে একদল তরুণ-তরুণী সেইখানে গিয়ে প্রতিবাদী আড্ডা দিয়েছেন। ওই দিনের ঘটনার প্রতিবাদ হিসেবে তাদের কয়েকজন প্রতীকী ধূমপান করেছেন।

এ সময় আগের দিনের মতোই স্থানীয় লোকজন তাদের প্রতিহত করতে যায়। কিন্তু তারা তাদের অবস্থান ত্যাগ করেননি বরং তারা বলেছেন, ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন অনুযায়ী এই জায়গা ‘পাবলিক প্লেস’ নয়। অভ্যাস থাকলে ছেলে বা মেয়ে যে কেউ এখানে ধূমপান করতে পারেন। তারা ধূমপানকে উৎসাহিত করার জন্য নয়, প্রতিবাদ হিসেবে আড্ডায় মিলিত হয়েছেন।

একজন তরুণী রোববারের ঘটনার প্রতিবাদে ঘটনাস্থলে যাওয়ার জন্য ফেসবুকে একটি ইভেন্ট খুলে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের সেখানে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানান। বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে সেখানে একদল তরুণ-তরুণী গিয়ে ওই কর্মসূচিতে অংশ নেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত প্রতিবাদী তরুণ-তরুণীরা সেখানে অবস্থান করেন।

এ সময় স্থানীয় এক ব্যক্তি আগের দিনের মতোই এসে প্রতিবাদ করেন। তিনি বলেন, এটা তার এলাকা। পাশেই সার্কিট হাউস। এটা ভিআইপি সড়ক। এখানে ধূমপান করা যাবে না।

তবে প্রতিবাদী তরুণ-তরুণীদের জেরার মুখে তিনি স্বীকার করেছেন, ধূমপান নারী-পুরুষ উভয়ের জন্যই ক্ষতিকর। কেউ করলে নিজের বাসায় করবে। এখানে এসে করতে পারবে না। এটাই তার কথা। এ বিষয়ে পরস্পরের মধ্যে কিছুক্ষণ বিতর্ক হয়। এ সময় আশেপাশে অনেক মানুষ জড়ো হয়। আগের দিন স্থানীয় ছেলেরা তাদের ভিডিও ধারণ করেছিলেন।

শুক্রবার মেয়েরা প্রতিবাদকারী ব্যক্তির ভিডিও ধারণ করেন। এ অবস্থায়  সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত আড্ডা দিয়ে তারা ওই স্থান ত্যাগ করেন।

নেতৃত্বদানকারী একজন তরুণী বলেন, পাবলিক প্লেসে ধূমপান নিষিদ্ধ। সংজ্ঞা অনুযায়ী এই সড়ক পাবলিক প্লেস নয়। এখানে যে কেউ ধূমপান করতেই পারেন।

তিনি বলেন, তারা ধূমপানকে উৎসাহিত করার জন্য সেখানে যাননি। আগের দিনের ঘটনার প্রতিবাদে এখানে আড্ডা দিতে এসেছেন। তাদের মধ্যে কারও অভ্যাস থাকলে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে ধূমপান করেছেন। এই ধূমপান তাদের প্রতীকী প্রতিবাদ।

গত রোববার বিকালে এক তরুণের সঙ্গে ওই তরুণী সার্কিট হাউস সড়কের পাশে ফুটপাতে থাকা ইটের বেঞ্চে বসে ধূমপান করছিলেন। তখন তাকে গিয়ে প্রথমে স্থানীয় এক ব্যক্তি বাধা দেন। তিনিই ওই তরুণীর সঙ্গে উগ্র ব্যবহার করে ওই স্থান ত্যাগ করতে বাধ্য করেন। তরুণীকে হেনস্থা করার ভিডিও ফেসবুকে ছেড়ে দেয়া হয়। এই ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়।

এতে দেখা যায়, ধূমপানরত অবস্থায় তরুণ-তরুণীর ওপর চড়াও হন ওই ব্যক্তি। তার সঙ্গে আরও কিছু মানুষ জড়ো হয়। তারাও চড়াও হন ওই তরুণ-তরুণীর ওপর। এক পর্যায়ে তাদের উঠে যেতে বলেন। এসময় তরুণ-তরুণী উঠে যেতে বাধ্য হন। যাওয়ার সময় মেয়েটি পেছন ফিরে তাকান। তা দেখে প্রথম আক্রমণকারী লোকটি চেঁচিয়ে বলেন, ‘আবার ট্যারা চোখে তাকাচ্ছে।’

সূত্র : যুগান্তর

রাজশাহী বার্তা/admin

এই বিভাগের আরও খবর