ক্রেতা সেজে অস্ত্রের কারখানার সন্ধান পেল পুলিশ -পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান
পাবনার বেড়া উপজেলার আমিনপুর থানার নাটিয়াবাড়ি এলাকায় অবৈধ অস্ত্র তৈরির কারখানায় অভিযান চালিয়ে চারটি আগ্নেয়াস্ত্রসহ দুইজনকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল। পরে আটকদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অস্ত্র কেনাবেচার কাজে ব্যবহৃত একটি নীল রঙয়ের প্রাইভেটকার উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত বাড়ির মালিকসহ আরও চারজন পলাতক রয়েছেন।
মঙ্গলবার (০৯ মার্চ) দুপুরে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পাবনার পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান এ সব তথ্য জানান।
পুলিশ সুপার বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমাদের গোয়েন্দা পুলিশ দীর্ঘদিন ধরে ক্রেতা সেজে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছিল। সোমবার দুপুরে অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে অভিযান পরিচালনা করি। অভিযানে মাটির নিচে আন্ডারগ্রাউন্ডে একটি কক্ষ থেকে অস্ত্র বানানো অবস্থায় দুইজনকে চারটি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্রসহ আটক করা হয়। আট সদস্যের এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ অস্ত্রের ব্যবসা করে আসছিল। বাড়ির মালিকসহ আরও চারজন পালিয়েছেন। তাদের ধরতে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করছে।
আটকরা হলেন- পাবনার বেড়া উপজেলার রাকশা গ্রামের মৃত মোকছেদ আলীর ছেলে আব্দুল্লাহ আল মনসুর মিঠু (৪১) ও একই উপজেলার নাটিয়াবাড়ি রাজনারায়ণপুর গ্রামের মো. হানিফ কাজীর ছেলে আব্দুল আল সিয়াম কাজী (১৯)।
পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান বলেন, অভিযানে ওই বাড়ি থেকে একটি পিস্তল, একটি রিভলবার ও দুটি দেশীয় তৈরি শাটারগান উদ্ধার ও দুইজনকে হাতেনাতে আটক করা হয়েছে। অস্ত্রের পাশাপাশি অস্ত্র তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জামও উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আটকদের কোনো রাজনৈতিক পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে তাদের নামে পূর্বের বেশ কিছু মামলা রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আরও দুটি মামলা করা হয়েছে। বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে মঙ্গলবার আটকদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও ডিএসবি) শামিমা আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রোকনুজ্জামান সরকার, গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মো. আব্দুল হান্নান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
রাজশাহী বার্তা/admin