তাহাজ্জুদ নামাজের উপকারিতা

সময়: 10:22 am - March 24, 2021 | | পঠিত হয়েছে: 230 বার

দোয়া কবুলের শ্রেষ্ঠ মাধ্যমের একটি তাহাজ্জুদ নামাজ। এ নামাজের উপকারিতাও বেশি। হাদিসের ঘোষণায় ফরজ নামাজের পর রাতের (তাহাজ্জুদ) নামাজ সর্বোত্তম ইবাদত। শয়তানের আক্রমণেও কার্যকরী আমল এটি।

রাতের কিছু অংশ ঘুমানোর পর ওঠে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়তে হয়। এ নামাজ পড়ার মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন সম্ভব হয়। শয়তানের যাবতীয় অনিষ্টতা থেকে মুক্তি পায় মুমিন মুসলমান।

হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘ফরজ নামাজের পর রাতের (তাহাজ্জুদ) নামাজ সর্বোত্তম ইবাদত।’ (মুসলিম)

তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার প্রতি গুরুত্বারোপ করে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মুমিনের বিশেষ সতর্কতা ও উপকারিতার কথা এভাবে তুলে ধরেছেন-
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে কেউ যখন ঘুমিয়ে থাকে তখন শয়তান তার মাথার শেষাংশে (ঘাড়ে) তিনটি গিট মেরে দেয়। প্রত্যেক গিট দেয়ার সময় এ মন্ত্র পড়ে মুমিন বান্দাকে অভিভূত করে দেয় যে, তোমার এখনো লম্বা রাত বাকি, অতএব ঘুমাতে থাকো।

সুতরাং ওই ব্যক্তি যদি ঘুম থেকে জেগে ওঠে আল্লাহর জিকির করে তবে (শয়তানের দেয়া গিটের) একটি বাঁধন খুলে যায়। তারপর ওজু করলে আরেকটি বাঁধন খুলে যায়। অতঃপর তাহাজ্জুদ নামাজ আদায়ের মাধ্যমে তার সবগুলো বাঁধনই খুলে যায়।
ফলে ভোর বেলা ফজরের সময় সে উদ্যম ও স্বতস্ফুর্তভাবে জেগে ওঠে। অন্যথায় (তাহাজ্জুদ না পড়লে) আলস্যভরা ভারী মন নিয়ে ফজরের সময় জেগে ওঠে। (মুয়াত্তা মালেক, বুখারি, মুসলিম, আবু দাউদ, নাসাঈ, ইবনু মাজাহ)

সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, নিয়মতি তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করা। তাহাজ্জুদের উপকারিতা পাওয়ার পাশাপাশি তাহাজ্জুদ না পড়ার ক্ষতি ও আলস্যভরা মন হওয়া থেকে বিরত থাকা।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে নিয়মিত তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার তাওফিক দান করুন। দুনিয়ায় শয়তানের অনিষ্টতা থেকে মুক্ত থাকার তাওফিক দান করুন। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের তাওফিক দান করুন। আমিন।

রাজশাহী বার্তা/admin

এই বিভাগের আরও খবর