জলাবদ্ধতা নিরসন করলেন ইউএনও
সময়: 9:01 pm - April 10, 2021 | | পঠিত হয়েছে: 99 বার
প্রায় ৪ যুগপূর্বে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলা প্রশাসনের অফিস বিল্ডিং ও এসব অফিসে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারি জন্য নির্মাণ করা হয়েছিল আবাসিক বিল্ডিং। উপজেলা প্রশাসনের অফিস থেকে বরাবর রেললাইনের পশ্চিম পাশ দিয়ে রাধাবাড়ি রেলগেট পর্যন্ত বিভিন্ন অফিস ও আবাসিক বিল্ডিংগুলো অবস্থিত। আবাসিক বিল্ডিংগুলোর পূর্বধার অধিক নিচু এবং বর্ষার পানি নিঃষ্কাশনের ড্্েরনের সঙ্গে সংযুক্ত। একারনে সারাবছরই ড্্েরনে ময়লা পানিতে ভরে থাকে আর তাতে জন্ম নেয় কচুরীপানা ও আগাছা। ড্্েরনের ময়লা পানির দূর্গন্ধে ও মশার কারনে অফিস ও আবাসিকের সবাই অতিষ্ঠ থাকত।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড পাঁচবিবির ছোট যমুনা নদী খনন কাজ করছেন। নদী খননের অতিরিক্ত মাটিগুলো অফিস, আবাসিক বিল্ডিং ও বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের অধিকতর নিচু অংশগুলো পূরণ করা হচ্ছে। এতে দীর্ঘদিনের সমস্যার সমাধান করছেন পাঁচবিবির উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদ।
উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা কামরুল হাসান ও আমার বাড়ি আমার খামাড় প্রকল্প কর্মকর্তা আঃ মমিন মন্ডল বলেন, আমার অফিসটি একেবারে নর্দমার উপরে অবস্থিত। নর্দমার পচা পানির দূর্গন্ধ ও মশার উৎপাতে জানালা বন্ধ করেই অফিস করতে হয়। এদিকে আবাসিকে বসবাস করা উপজেলা কৃষি অফিসে কর্মরত উপ-সহকারি উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা ছাইফুল ইসলাম বলেন, মশা ও দূর্গন্ধে পরিবার নিয়ে এখানে বসবাস কঠিন ব্যাপার। বর্ষাকালে আবাসিকের পূর্বধার পানিতে ভরে যায় আমার মত এখানে বসবাস করা অনেকেই ছোট বাচ্চাদের নিয়ে সংশয়ে থাকতে হয়। তিঁনি আরো বলেন, বর্ষার পানিতে নর্দমাটি ভরে গেলে সাপ, কেঁচো, তেলাপোকা সহ বিভিন্ন প্রাণহানীকর জীবজন্তু আবাসিকে আসে এবং উপদ্র করে। মাটি দিয়ে এসব নিচু এলাকাগুলো ভরাট করা হয়ে গেলে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে এমন মন্তব্য সবারই।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরমান হোসেন বলেন, যমুনা নদী খননের মাটি দিয়ে নদীর পাড়বাঁধার পর অতিরিক্ত মাটি দিয়ে সরকারি নিচু অফিস ও স্থাপনাগুলো ভরাট করা হচ্ছে।