রাজশাহীতে পুলিশের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ
রাজশাহী নগরে বড় মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। মহানগর পুলিশের কাশিয়াভাঙ্গা থানার এসআই তাজ উদ্দিন ও কনস্টেবল আরিফের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির এই অভিযোগ করে এক কলেজছাত্র। সোমবার রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) কমিশনার হুমায়ুন কবিরের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ করেন গোেদাগাড়ী সরকারি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ইমাম হাসান।
লিখিত অভিযোগে ইমাম জানিয়েছেন, তার ভাগ্নে সাহারিয়ার নাজিম জয়কে নিয়ে গত ২৫ ফেব্রুয়ারী গোদাগাড়ী থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসাধীন এক আত্মীয়কে দেখতে আসেন। হাসপাতালের ২১ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা ওই রোগীকে দেখে ওই দিন দুপুরে গোদাগাড়ী ফেরার পথে কাশিয়াভাঙ্গা থানার কনস্টেবল আরিফ সাদা পোশাকে নিজেকে এসআই পরিচয় দিয়ে কাশিয়াডাঙ্গা মোড়ে তাদের মোটর সাইকেলের গতিরোধ করে।
এর পর আরিফ তাদের দুই জনের শরীর তল্লাসি করে কিছু না পেয়ে তাদের ব্যবহৃত দুইটি মোবাইল চোরাই বলে থানায় নিয়ে যায়। সেখানে এসআই তাজ উদ্দিন মোটর সাইকেলের কাগজপত্র দেখতে চাই। মোটর সাইকেলের কাগজপত্র নাই বললে তিনি মোবাইল চুরি ও মাদকসহ বিভিন্ন মামলা ফাঁসিয়ে দেওয়ার ভয়ভিতি দেখায়। এক পর্যায়ে এসআই তাজ উদ্দিন তাদের কাছে এক লাখ টাকা দাবি করে। অনেক দেনদরবারের পর মামলা থেকে মুক্তির জন্য তার পরিবারের লোকজন নগদ ২০ হাজার টাকা এসআই তাজ উদ্দিনের হাতে দিলে তাদের মুচলেকা নিয়ে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া। এছাড়াও তাদের কাছ থেকে ১২০০ টাকা আরিফ ইমামের পকেট থেকে বের করে নেয়। এ সময় হুমকি দেয় বিষয়টি কাউকে বলছে যে ফাঁকা কাগজে সাক্ষর নেয়া আছে সেটি দিয়ে বড় মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়া হবে।
ইমাম বলেন, মোটর সাইকেলের কাগজপত্র সাথে নেয় এ জন্য মামলা দেবে। কিন্তু মোবাইল চোরের অপবাদ দিয়ে থানায় ধরে নিয়ে যায় এবং ছয় ঘন্টা আটকে রাখে। এর পর মোবাইল চুরি ও মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে ২০ হাজার টাকা নিয়ে ছেড়ে দেয়। আমি সেটি মেনে তিনি পারিনি। তায় ন্যায় বিচারের জন্য পুলিশ কমিশনারের কাছে লিখিত আবেদন জানিয়েছি।
কাশিয়াডাঙ্গা থানার ওসি মনসুর আলী আরিফ বলেন, এ ধরণের ঘটনা আমার জানা নেই। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। এ ঘটনা যদি ঘটে থাকে তবে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অবশ্যই কর্মকর্তাদের কাছে সুপারিশ করা হবে।
আরএমপির মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশিনার গোলাম রুহুল কুদ্দুস বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
রাজশাহী বার্তা/admin