করোনা কেন হয়, প্রতিরোধে কী করবেন?

সময়: 6:53 pm - March 10, 2020 | | পঠিত হয়েছে: 152 বার

বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে করোনাভাইরাস। পৃথিবীর ১০০টির বেশি দেশে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। আর মৃত্যু হয়েছে তিন হাজারেও বেশি। তবে এই রোগের কোনো প্রতিষেধক বা টিকা এখনও আবিষ্কৃত হয়নি।

 

করোনাভাইরাস নিয়ে বিভিন্ন ধরনের তথ্য দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা– হু। এই করোনাভাইরাস কী, কেন হয়, এর চিকিৎসা ও প্রতিকার নিয়ে অনেক তথ্য দিয়েছে হু।

 

করোনা ভাইরাস কী?

 

করোনাভাইরাস বলতে এক গোত্রের অনেকগুলো ভাইরাসকে বোঝায়, যা মূলত প্রাণীদের মধ্যে পাওয়া যায়। বার্ড ফ্লু তথা সার্স ভাইরাসও এই গোত্রের। হিউম্যান করোনাভাইরাস এক ধরনের জুনোটিক রোগ এবং এই সংক্রমণটি প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।

 

হিউম্যান করোনাভাইরাস ছড়ানোর কারণ

 

হিউম্যান করোনাভাইরাস সাধারণত একজন ব্যক্তির শ্বাসনালিকে প্রভাবিত করে। শ্বাসনালিতে সংক্রমিত তরল কাশি বা হাঁচির সময় এক ব্যক্তির থেকে আরেক ব্যক্তির মধ্যে চলে যায়। এ ছাড়া যদি সংক্রমিত ব্যক্তি মুখ না ঢেকে খোলা বাতাসে হাঁচি বা কাশি দেয়, তা হলে ভাইরাসটি বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে।

 

ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার অন্যান্য কারণ হলো– সংক্রমিত ব্যক্তির সঙ্গে হ্যান্ডশেক, সংক্রমিত কোনো বস্তুর সঙ্গে নাক বা মুখ একসঙ্গে স্পর্শ করা এবং বিরল ক্ষেত্রে, রোগীর মলমূত্র স্পর্শ করা।

 

হিউম্যান করোনার লক্ষণ

 

সর্দি, গলাব্যথা, কাশি, মাথাব্যথা, জ্বর, হাঁচি, অবসাদ ও শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া। করোনা হলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে যায়। যারা বয়স্ক তাদের এই ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। নিউমোনিয়া বা শ্বাসনালির ব্যাধির মতো মারাত্মক অসুস্থতায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি থাকে। মার্স ও সার্সের লক্ষণগুলো মারাত্মক হয়– এর কারণে গুরুতর শ্বাসকষ্টের সমস্যা, কিডনিতে সমস্যা, ডায়রিয়া এবং কোনো ব্যক্তির মৃত্যুও হতে পারে বলে জানা গেছে।

 

হিউম্যান করোনাভাইরাস নির্ণয়

 

হিউম্যান করোনাভাইরাস নির্দিষ্ট কয়েকটি পরীক্ষার মাধ্যমে নির্ণয় করা হয়।

 

মলিকিউলার টেস্ট

 

সক্রিয় সংক্রমণের লক্ষণগুলো খুঁজে বের করতে।

 

সেরোলজি টেস্ট

 

এই পরীক্ষাটি নজরদারি করার উদ্দেশ্যে। এটি পূর্ববর্তী সংক্রমণ থেকে অ্যান্টিবডিগুলো শনাক্ত করার জন্য করা হয়, যা একজন ব্যক্তির ভাইরাসের ধরন প্রকাশিত করে।

 

হিউম্যান করোনাভাইরাস চিকিৎসা

 

এই রোগের এখনও কোনো টিকা বা চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কার করা হয়নি। বেশ কয়েকটি ভ্যাকসিন নিয়ে এখনও গবেষণা চলছে। তবে অনেক সহায়ক চিকিৎসা পদ্ধতি এবং ওষুধ রয়েছে, যেগুলো এর হালকা থেকে মাঝারি উপসর্গগুলোর চিকিৎসা করতে পারে। ব্যথা ও জ্বরের চিকিৎসার জন্য ওষুধ বা গলাব্যথা নিরাময়ের জন্য গরম পানি ইত্যাদি।

 

করোনাভাইরাস প্রতিরোধ

 

কিছু নিয় মেনে চললে করোনা প্রতিরোধ করা যায়-

 

১. হাঁচি-কাশির পর হাত ধুয়ে নিন।

 

২. কাশি-হাঁচির আগে মুখ ঢেকে নিন।

 

৩. আপনার যদি মনে হয় যে আপনি সংক্রমিত, তা হলে কোনো ব্যক্তির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা এড়িয়ে চলুন।

 

৪. রান্না না করা মাংস ও ডিম খাবেন না।

 

৫. নিজেকে সারাক্ষণ হাইড্রেট রাখুন।

 

৬. এসব লক্ষণ দেখা দেয়া মাত্রই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খান।

 

৭. ধোঁয়াটে এলাকা ও ধূমপান করা এড়িয়ে চলুন।

রাজশাহী বার্তা/admin

এই বিভাগের আরও খবর