রামেক হাসপাতালে ১২ দালাল গ্রেফতার

রাজশাহী রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল থেকে ১২ দালালকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। অপর অভিযানে প্রাইভেট হাসপাতাল এবং ক্লিনিকে এক লাখ টাকা জরিমানা ছাড়াও সিলগালা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাব জানায়, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রামেক হাসপাতালে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে গ্রেফতার ব্যক্তিদের বিভিন্ন মেয়াদে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন- রাজশাহী জেলা প্রশাসকের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সাকিব হাছান খাঁন ও সানিয়া বিনতে আফজল।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাব জানায়, আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং আশপাশের এলাকায় অবস্থান করে সাধারণ মানুষের কাছে নিজেদের হাসপাতালের এবং ডাক্তারদের কাছের লোক বলে পরিচয় দেয়। রোগীদের উন্নত চিকিৎসার লোভ দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে টাকা নেয়। রাজশাহী মেডিক্যালে অল্প খরচে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেওয়ার আশায় রোগীদের স্বজনদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়। সরকারি আম্বুলেন্সে যাতায়াত করিয়ে দেওয়ার কথা বলে রোগীর স্বজনদের কাছ থেকে বিভিন্ন অঙ্কের টাকা নেয়। এ ছাড়াও বিভিন্নভাবে রোগীদের হয়রানিমূলক কর্মকাণ্ডসহ হাসপাতালের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার কথা বলে অর্থ নেয়।

আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ১৮৬০-এর ১৮৮ ধারায় বিচার করে বিভিন্ন মেয়াদে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে রাজশাহী কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে র‌্যাব জানায়।

সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলো- সিপাইপাড়ার মৃত আব্দুর রহিম জামাল হোসেন (৪০), লক্ষ্মীপুরের মৃত ইব্রাহিম খলিলের ছেলে সাবজাল হক (৫২), বহরমপুরের রফিকুল ইসলামের ছেলে মোতাসসিম রুপক (৩২), বগুড়ার আদমদিঘীর চাঁপাপুরের মৃত আব্দুর রশিদ শেখের ছেলে রনি শেখ (২৫), নাচোলের মুরগিডাঙ্গার আবুল কালাম আজাদের ছেলে শাহিন আলম পিয়াস (২৪), নগরীর হোসনীগঞ্জ নিমরোজ আলীর ছেলে রাজন আলী (৩৫)।

এ ছাড়া সিপাইপাড়ার আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে সজলকে (৪২) চার দিন, একই এলাকার মৈরুদ্দিন প্রামাণিকের ছেলে আব্দুল জলিল (৫৫), কাঁঠালবাড়িয়া এলাকার শামসুদ্দিনের ছেলে রয়েল হোসেন অপুকে (৩২) চার দিন, কেশবপুরের মৃত লিটনের ছেলে মুরসালিনকে (২৪), পাঁচ দিনের, ডাঁশপুকুরের মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে আহমদ আলীকে (৩০) তিন দিনের, নিয়ামপুরের আকেজীগঞ্জের আমিরুল ইসলামের ছেলে মো. সোহেল রানাকে (২৪) তিন দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

অভিযানে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে আল শেফা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক মো. ডাবলুকে ৫০ হাজার টাকা, রাজশাহী কিডনি ডায়ালাইসিস অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক বাচ্চু রহমানকে ২০ হাজার টাকা এবং মেডিকো ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক উম্মে মনিরাকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া সানবিম হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালা করা হয়।