১০ টাকা কেজির চাল বিনামূল্যে দিচ্ছেন আ.লীগ নেতা

সময়: 7:36 pm - April 10, 2020 | | পঠিত হয়েছে: 376 বার

চারদিকে যখন কিছু অসাধু মানুষ ১০ টাকা কেজির সরকারি চাল আত্মসাতে ব্যস্ত। ঠিক ওই সময় নওগাঁয় এক আ.লীগ নেতা অসহায়দের মাঝে বিনামূল্যে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির (ওএমএস) ১০ কেজির চাল বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে জেলার ধামইরহাট উপজেলায় থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল হক সরকার বিনামূল্যে চাল দিচ্ছেন হতদরিদ্রদের।

রাজনীতির পাশাপাশি তিনি একজন ব্যবসায়ী। এ দুঃসময়ে মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন তিনি। তার এমন মহৎ উদ্যোগের প্রশংসা জানিয়েছেন উপজেলাবাসী।

ধামইরহাট পৌরসভায় কর্মহীন হয়েপড়া ২ হাজার ৪শ জনকে বিনামূল্যে পাঁচ কেজি করে চাল দিবেন আ.লীগ নেতা ওবায়দুল হক সরকার। পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডের তিনটিতে সপ্তাহে তিনদিন (প্রতিদিন ২শ জন) ৬শ জনকে চাল দেয়া হবে। একজন ওএমএস ডিলারের মাধ্যমে একমাস (৪ সপ্তাহ) চাল দেয়া হবে। এজন্য প্রতি এলাকা থেকে হতদরিদ্রদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। সেই তালিকা অনুযায়ী ওয়ার্ড ভিত্তিক সুবিধাভোগীরা চাল নিয়ে আসবেন। এতে করে ২ হাজার ৪শ জনের মাঝে বিনামূল্যে ১২ হাজার কেজি (৩শ মণ) চাল দেয়া হবে।

পৌরসভা এলাকার উত্তরচকজদু গ্রামের চা দোকানদার সুমন মিয়া বলেন, অনেক দিন থেকে দোকান বন্ধ ছিল। বিকল্প আয়ের কোনো পথ না থাকায় পরিবার পরিজন নিয়ে অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয়েছে। সামান্য কিছু ত্রাণ পেয়েছিলাম তা দিয়ে কয়েকদিন চলছে। এরমধ্যে সরকার থেকে ১০ টাকা কেজি দরের চাল দেয়া শুরু করেছেন। পাঁচ কেজি চাল নেয়ার পর দোকানদারকে টাকা দিতে চাইলে তিনি বলেন টাকা দিতে হবে না। পরে শুনলাম আ.লীগ নেতা ওবায়দুল হক সরকার আমাদের মতো মানুষদের বিনামূল্যে চাল দিতে বলেছেন। বিনামূল্যে চাল পেয়ে খুবই সুবিধা হয়েছে। ওই টাকায় এখন তরকারি কিনতে পারবো।

উপজেলার স্মৃতিসৌধ চত্বরের ওএমএস ডিলার আবুল তালেব বলেন, সপ্তাহে তিনদিন চাল দেয়া হবে। ইতোমধ্যে এক হাজার কেজি চালের দাম অগ্রিম দিয়েছেন। বাকি টাকা পর্যায়ক্রমে দিতে চেয়েছেন ওবায়দুল হক সরকার।

ধামইরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল হক সরকার বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষরা কর্মহীন হয়ে ঘরে বসে আছে। কাজ না থাকায় তাদের আয়ের পথ বন্ধ হয়ে পড়েছে। অনেকেরই ১০ টাকা দরে খোলা বাজার থেকে চাল কেনা কষ্টসাধ্য। দুর্যোগ মুহূর্তে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি। যেখানে কর্মহীন মানুষ ঘরে বসেই দিন কাটাচ্ছে, সেখানে তাদের কাছে এখন ১০ টাকা অনেক বড়। কর্মহীন হতদরিদ্রদের প্রতিজনকে পাঁচ কেজি করে চাল ডিলারের মাধ্যমে বিনামূল্যে দেয়ার ব্যবস্থা করেছি। যাতে করে আমার এলাকার কোনো মানুষকে অনাহারে দিন কাটাতে না হয়।

তিনি আরও বলেন, সপ্তাহে তিনদিন পৌরসভা বাসিন্দাদের ৬শ জনের মাঝে ৩ হাজার কেজি চাল দেয়া হবে। দুস্থ পরিবারের কাউকেই এ চালের মূল্য দিতে হবে না। আগামী ১ মাস পর্যন্ত এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।

ধামইরহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) গনপতি রায় বলেন, সরকারের পাশাপাশি জাতির এ চরম দুর্যোগ মুহূর্তে যারা মানুষের কল্যাণে এগিয়ে আসছেন নিঃসন্দেহে তারা মহৎ কাজ করছেন। তেমনি ওবায়দুল হক সরকারের মতো সমাজের বিত্তবানদের অসহায়দের পাশে এভাবে এগিয়ে আসা উচিত।

রাজশাহী বার্তা/admin

এই বিভাগের আরও খবর