রাজশাহীতে ত্রাণ ও খোলা বাজারে মানা হচ্ছে না সামজিক দূরত্ব!
করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার নির্দেশনা অনেকেই মানলেও রাজশাহীতে ত্রাণ বিতরণ ও খোলাবাজারে চাল-ডাল কেনার ক্ষেত্রে তা উপেক্ষিত হচ্ছে। যারা ত্রাণ বিতরণ করছেন তারাও বিষয়টিকে সেভাবে আমলে নিচ্ছেন না। তবে, সবথেকে বেশি ঝুঁকি বাড়াচ্ছে খোলাবাজারে পণ্য কেনার বিষয়টি।
রাজশাহী মহানগরী ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও দেয়া হচ্ছে ত্রাণ। এছাড়াও নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য সরকারের ওএমএস এর ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি হচ্ছে নগরীর ৩০ টি পয়েন্টে ও ১৪ টি পয়েন্টে ট্রাকে বিক্রি হচ্ছে টিসিবির পন্য। এসব পয়েন্টে প্রতিদিনই গাদাগাদি করে জনসমাগম করে দাঁড়াচ্ছে মানুষ। তাদের সামাজিক নিরাপত্তার জন্য দাগ কেটে দেয়া হলেও মানা হচ্ছে না।
সরেজমিনে বেশ কয়েটি টিসিবি ও ওএমএস এর পয়েন্ট ঘুরে দেখা গেছে, রাজশাহীর কোন পয়েন্টে মানা হচ্ছে না সামাজিক দুরত্ব। এমনকি একজনের গায়ে গা ঘেসে লক লাইনে দাঁড়াচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষেরা। সাহেব বাজারের টিসিবির ডিলার মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, আমাদের এখানে পুলিশ থাকে। তারপরও লাইনে সবাই দাঁড়িয়ে যায়। কিছু করার থাকেনা। তবে তাদের বলি যাতে দুরত্ব বজায় রেখে পন্য ক্রয় করে। অনেকেই মানেও।
এবিষয়ে রাজশাহী সিভিল সার্জন ডা, এনামুল হক বলেন, এখন আমাদের সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে হবে। কোথাও ত্রাণ দিলে সেখানেও দুরত্ব রাখেতে হবে। এগুলো যদি না হয় তবে কোন সংক্রমন রোগীর সংস্পর্শে এসে দ্রুত রোগ ছড়াবে। এজন্য সকলকে জনসমাগম এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন সিভিল সার্জন।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার গোলাম রুহুল কুদ্দুস বলেন, আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। প্রতিটি পয়েন্টে পুলিশ পাহাড়ায় এসব পন্য বিক্রি করা হচ্ছে। তবে পুলিশ চলে আসলেই সেখানে আগের মত হয়ে যাচ্ছে। শহরে বর্তমানে মোট ৪৪টি স্থানে ট্রাক সেল হচ্ছে। সামাজিক দুরত্ব রাখতে সেখানে পুলিশ কাজ করছে। তিনি আরও বলেন, সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে এখন থেকে কোন ত্রান বিতরণ করলে আরএমপির অনুমতি লাগবে। সেখানে পুলিশ দুরত্ব বজায় রাখতে কাজ করবে। যদি অনুমতি বিহিন কোথাও ত্রাণ বিতরণ করা হয় তবে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
রাজশাহী বার্তা/admin