কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় ৩ চিকিৎসক আক্রান্ত করোনায়
কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত আরও তিন চিকিৎসক। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, আক্রান্ত চিকিৎসকদের মধ্যে এক জন শিশুমঙ্গল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক। বাকি দু’জনের এক জন হাওড়া হাসপাতালের চিকিৎসক। তৃতীয় জন নিউটাউনের একটি বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক। যদিও সরকারি ভাবে এই চিকিৎসকদের আক্রান্ত হওয়ার কথা ঘোষণা করেনি স্বাস্থ্য দফতর। রাজ্য সরকারের হিসাব অনুযায়ী, এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গে অ্যাক্টিভ করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা ৯৫। এবং এতে সংক্রমিত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের।
সূত্রের খবর, শিশুমঙ্গলের ওই চিকিৎসকের কাছে জরুরি বিভাগে এক রোগী এসেছিলেন। তাঁর দেহে করোনাভাইরাসের উপসর্গ ছিল। তাঁকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে রেফার করে দেওয়া হয় শিশুমঙ্গল থেকে। এর পর ৯ এপ্রিল থেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন জরুরি বিভাগের চিকিৎসক। সর্দি, জ্বর এবং কাশির মতো উপসর্গ দেখা যায় তাঁর শরীরে। ১১ এপ্রিল তাঁর লালারসের নমুনা পরীক্ষা করার পর তা নেগেটিভ আসে। কিন্তু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে তাঁকে কোয়রান্টিনে রাখা হয়। রবিবার ফের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হলে, রিপোর্টে কোভিড পজিটিভ পাওয়া যায়।
অন্য দিকে, হাওড়া হাসপাতালের এক চিকিৎসকেরও রিপোর্ট পজিটিভ পাওয়া গিয়েছে। ওই হাসপাতালের সুপার ইতিমধ্যেই আক্রান্ত। তবে সুপার আক্রান্ত হওয়ার পর ওই সদ্য আক্রান্ত চিকিৎসককে কোয়রান্টিনে পাঠানো হয়নি বলে জানা গিয়েছে। স্বাস্থ্যকর্তাদের সন্দেহ, সুপারের সঙ্গে একাধিক বার বৈঠক করেছেন ওই চিকিৎসক। সেখান থেকেই সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে।
আক্রান্ত তৃতীয় চিকিৎসক নিউটাউনের একটি বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত। তাঁর দেহে নোভেল করোনাভাইরাস কী করে এল, তা এখনও পরিষ্কার নয়। তাঁকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
এর আগে রাজ্যের দু’টি সরকারি হাসপাতালের সুপার এবং সহকারী সুপার পদমর্যাদার চিকিৎসক নোভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। তাঁরা চিকিৎসাধীন রয়েছেন। দুই নার্সও আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন। তিন চিকিৎসকের সংস্পর্শে কারা এসেছিলেন এবং হাসপাতালের কোথায় কোথায় তাঁরা গত কয়েক দিনে গিয়েছিলেন, তা চিহ্নিত করার কাজ শুরু করেছে স্বাস্থ্য দফতর।
রাজশাহী বার্তা/admin