চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোহালবাড়ী গ্রামে ড্রেনের ডালায় ভেঙ্গে চরম দুর্ভোগে কয়েকটি গ্রামের মানুষ
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়নের গোহালবাড়ী গ্রামের পুলপাড়া ওয়াক্তিয়া মসজিদের সামনের রাস্তার মাঝে প্রায় ২ মাস ধরে ভেঙ্গে আছে ড্রেনের ছাদের ডালায় ।
স্থানীয় পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির আবাদি জমিতে সেচ কাজে ব্যবহার করা ড্রেনের চার ভাগের তিন ভাগই ভেঙ্গে রয়েছে। এতে রাস্তায় চলাচলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাদুপুর, দুর্গাপুর, গোহালবাড়ী, শিমুলতলা গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। স্থানীয়রা জানায়, ১০-১২ বছর আগে ড্রেনটি তৈরি করা হয়েছে। প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস সংক্রমণের পরিস্থিতিতে রাস্তার ড্রেনটি ঠিক না করার কারনে প্রশাসন যাদুপুর-দুর্গাপুর গ্রামে ডুকতে পারছে না।
এর সুযোগে এই গ্রামগুলোতে দিনের বেলাতেও চায়ের দোকানে চলছে বিভিন্ন বয়সীদের আড্ডা। চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার টিকরামপুরের মো. জসিম উদ্দিন, ব্যবসার কাজে প্রায় প্রতিদিন যাতায়াত করেন এই রাস্তা দিয়ে। তিন বলেন, ২ মাস ধরে এভাবে ভেঙ্গে পড়ে থাকলেও এতে কারো কোন নজর নেয়। একটু সামান্য যে অংশ আছে সেটিও যেকোন সময় ভেঙ্গে যেতে পারে। পঞ্চাশোর্ধ এক ব্যক্তি জানান, রাতের বেলায় পথচারীরা সরাসরি এসে ড্রেনের মধ্যে পড়ে যাওয়ার কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। তার পরেও ইউনিয়ন পরিষদ বা সেচ প্রকল্পের কোন কর্তৃপক্ষই এ বিষয়ে মাথা ঘামায় না। সেচ প্রকল্পের ম্যানেজার লিটন আহমেদ জানান, যেহেতু এটি সড়ক বিভাগের রাস্তা, তাই তারাই এটি করবে।
এ বিষয়ে বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের ০৯নং ওয়ার্ড সদস্য মো. আবু সালেহ আল হাম্মাদ রাজীব জানান, রাস্তায় পথচারীদের চলাচলে সুবিধার জন্য আমরা এটি মাটি দিয়ে ভরাট করতে চেয়েছিলাম, তবে সেচের পানি সরবরাহ ঠিক রাখতে তা করা সম্ভব হয়নি। এটি সড়ক বিভাগ বা এলজিইডি’র রাস্তা, ইউনিয়ন পরিষদের নয়। এছাড়া সেচ প্রকল্পের কর্তৃপক্ষও কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
তবে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ভালোভাবে মেরামত কাজ করার জন্যই দেরী হচ্ছে বলে জানান এই জনপ্রতিনিধি। বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, জনসাধারনের দুর্ভোগের কথা ভেবে, সড়ক বিভাগকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে৷
রাজশাহী বার্তা/admin