রাজশাহীতে তেল চোর সিন্ডিকেটদের সম্পদের পাহাড়

সময়: 4:43 pm - April 27, 2020 | | পঠিত হয়েছে: 409 বার

তার অধীনে যেসব সিনিয়র সাব এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার আছেন সকলের সাথে তার রয়েছে গোপন আঁতাত। আর এই আঁতাতের কারনেই অধিকাংশ এসএসএই এবং পাওয়ার কার ড্রাইভাররা তেল মবিল চুরি করে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।

এই চোর সিন্ডিকেটের অন্যতম সদস্য রাজশাহী রেলের বৈদ্যুতিক শাখার এস এস এ ই আবুল হাসানের কিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হলেও অন্যান্য রাঘব বোয়ালরা রয়েছেন ধরা ছোঁয়ার বাইরে। সুষ্ঠ ও নিরোপেক্ষ তদন্ত হলে কোটি কোটি টাকা লোপাটকারী চক্রের অন্য সদস্যরা আটকা পড়বেন বলে মনে করেন রেল সংশ্লিষ্টরা।

জানা গেছে, কেবল মাত্র রেলের জ্বালানী তেলের দায়িত্বে থাকা পাকশী রেলের সহকারী বিদ্যুৎ প্রকৌশলী মোজাম্মেল এসএসএই আবুল হাসান ও রাজশাহীর এসএসএই ফাহিম একটি বড় সিন্ডিকেট ও সকল অপকর্মের হোতা। এরা অল্প সময়ের মধ্যে এতোটা অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন যে রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া থানাধীন সপুরা এলাকায় একটি ১১ তলা ভবনের ছয়টি ফ্লাট নির্মাণে অর্থ লগ্নী করেছেন।

নিয়ম অনুযায়ী সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারীদের সম্পত্তি ক্রয়ের পূর্বে অনুমতি নেয়ার কথা। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তারা নিয়মের ব্যতয় ঘটিয়েছেন। এদের নামে বেনামে আরো সম্পদ রয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ওই ভবন কমিটির একজন সদস্য জানান, এ ভবনটি মোট ৮ কাঠা জমিতে তৈরী হচ্ছে। ৪ ইউনিটের ১১ তলা ভবনের মোট ১৬ জন অংশিদার রয়েছে। এদের মধ্যে ৩ জন রেলের প্রকৌশলী রয়েছেন বলে জানান তিনি।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, পাকশী বিভাগের সহকারী বিদ্যুৎ প্রকৌশলী মোজাম্মেল দীর্ঘদিন যাবৎ রাজশাহীতে এসএসএই ইলেট্রিক পদে দায়িত্ব পালন করেন। সে সময় বিএনপি সমর্থিত শ্রমিক দলের একজন শীর্ষ নেতার আশির্বাদে নানা সুবিধা আদায় করেছেন। তার ছেলে রাজশাহী রেল স্টেশনে কর্মরত থাকাকালে একজন বিচারকের সাথে দুর্ব্যবহার করায় তাকে দায়িত্ব থেকে অপসারণ করে রাজশাহী সেন্ট্রাল কন্ট্রোলে বদলি করা হয়।

এদিকে তেল চুরির ঘটনায় এসএসএই/ ইলেক আবুল হাসানসহ আটককৃত ৪ জনকে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে নিরাপত্তাবাহিনী।

রেলওয়ে পশ্চিমান্চলের জিএম মিহির কান্তি গুহ বলেন, তদন্ত কমিটির রিপোর্ট জমা হয়েছে। এতে এসএসএই/ইলেক আবুল হাসান ও এলই আলমঙ্গীরকে দোষী সাবস্ত করা হয়েছে।

এছাড়াও যমুনা ওয়েল কম্পানীর ডিপো ইনচার্জ আমজাদ হোসেন ও জব্দকৃত লরির মালিক, রাজশাহী জেলা ট্রাক মালিক গ্রুপের সভাপতি ও ফার্টিলাইজার এসোসিয়শনের সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম সর্দারকেও দোষী সাবস্ত করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ট্রাক মালিক সমিতির নেতা রবিউল এর রয়েছে বিপুল পরিমাণ সম্পদ তার ১৮ টি ট্রাক এবং ১২ টি তেলবাহী লরি রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে তেলের তিনটি ডিলারশিপ। এর বাইরে বিপুল পরিমাণ সম্পদ রয়েছে এই রবিউল ইসলামের।

সূত্র : সিল্কসিটি নিউজ

রাজশাহী বার্তা/admin

এই বিভাগের আরও খবর