রাজশাহী নগরীতে ঈদ ঘিরে খুলছে দোকানপাট বাড়ছে আতঙ্ক
রাজশাহীর ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করে সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন এবং সদর আসনের এমপি ফজলে হোসেন বাদশা রাজশাহী মহানগরীতে দোকানপাট বন্ধ রাখার পক্ষে মত দিয়েছেন।
শনিবার রাতে সিটি ভবনে রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স এবং ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর নেতা, জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের যৌথসভায় সবার মতামতের পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
নগরভবনে আয়োজিত ওই সভায় মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন, সদর আসনের এমপি ফজলে হোসেন বাদশা, চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মনিরুজ্জামান মনিসহ প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
কিন্তু মঙ্গলবার রাজশাহীতে সরেজমিন দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। রাজশাহী মহানগরীর প্রধান ব্যবসা কেন্দ্র নিউমার্কেট এবং আরডিএ মার্কেটে চুপিসারে বেচাকেনা হয়েছে। বাইরে থেকে বড় দোকানগুলোর গেট বন্ধ রাখা হলেও দোকানের ভেতরে ক্রেতারা গাদাগাদি করে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে তাদের পছন্দের পণ্য কিনছেন। একই অবস্থা ছিল আরডিএ মার্কেটেও।
তাছাড়া কামারুজ্জামান চত্বর থেকে গণকপাড়া পর্যন্ত পোশাক এবং জুতাসহ অন্য পণ্যগুলোর বড় শোরুমগুলো ছিল খোলা। সাহেববাজার কাপড়পট্রিতেও ছিল মানুষের ঢল। সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় করতে দেখা গেছে।
তবে রাজশাহী ব্যবসায়ী সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সেকেন্দার আলী বলেন, লুকিয়ে দোকান খোলার ফলে স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘিত হচ্ছে। দোকানের সাটার বন্ধ করে এক স্থানে গাদাগাদি করে ক্রেতারা পণ্য কিনছেন। দোকানপাট খুলে দেয়ার জন্য ব্যবসায়ী নেতাদের ওপর দোকান মালিকদের চাপ রয়েছে।
আমার মনে হয় দোকানপাট খুলে দেয়া উচিত। না হলে দোকান মালিকরা পথে বসবেন। তাছাড়া প্রকাশ্যে দোকানপাট খুললে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও মনিটরিং করতে পারবে বলে মন্তব্য করেন এ ব্যবসায়ী নেতা।
রাজশাহী বার্তা/admin