পদ্মার ভাঙনে গোখাদ্যের জন্য কাটা হচ্ছে কাঁচা ধান

সময়: 7:40 pm - July 17, 2020 | | পঠিত হয়েছে: 170 বার

রাজশাহীর বাঘায় পদ্মা ভাঙনের ভয়ে গোখাদ্যের জন্য কাঁচা ধান কেটে নিয়ে যাচ্ছে এক কৃষক। মঙ্গলবার চকরাজাপুর ইউনিয়নের পদ্মার মধ্যে কালিদাসখালী মাঠে ফজল শেখ নামের কৃষককে এই ধান কাটতে দেখা যায়।

পদ্মার ভাঙনে তো জমি চলেই যাচ্ছে, কাঁচা ধান কেটে নিয়ে গেলে হতো গরুকে খাওয়ানো যাবে। এ ছাড়া বাড়িটাও ভাঙন থেকে ৩০০ মিটার দূরে অবস্থান করছে। বাড়িটাও অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

তিনি জানান, তার পরিবারে সদস্য সংখ্যা ৫ জন। জমি ছিল ৬ বিঘা। পদ্মায় ভাঙনে ভাঙতে ভাঙতে সব জমি পদ্মা নদীতে চলে গেছে। এখন কোথায় যাবে ভেবে পাচ্ছে না। এ দিকে তার ৪টি গরু ও ৬টি ছাগল রয়েছে। এগুলো নিয়ে চিন্তায় পড়েছে।

পদ্মার মধ্যে ১৫টি চরের আয়তন ৪৬ কিলোমিটার। জনসংখ্যা সাড়ে ১৫ হাজার। জমির পরিমাণ ৬ হাজার একর। মানুষের বসবাস প্রায় সাড়ে ৩ হাজার। আমান ধান চাষ হয়েছে ১০০ হেক্টর।

ফজল শেখের মতো আরও অনেক কৃষক কাঁচা ধান গোখ্যাদ্যের জন্য কেটে নিয়ে যাচ্ছেন।

চকরাজাপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার (কালিদাসখালী) শহিদুল ইসলাম বলেন, এই ওয়ার্ডে সাড়ে ৩ শতাধিক পরিবার বসবাস করত। পদ্মার ভাঙনের কারণে গত বন্যায় ও এবারের বন্যায় দুই শতাধিক পরিবার অন্যত্রে চলে গেছে।

এ ছাড়া ১০-১৫ বছর আগে রোপণ করা আম গাছসহ কয়েক শত বিঘা জমি নদীগর্ভে চলে গেছে। এই ওয়ার্ডে একটি মাত্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি দুইদিন আগে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। তবে বিদ্যালয়ের মালামাল টেন্ডারে বিক্রি করা হয়।

কালিদাসখালী চরের এক স্কুল শিক্ষক গোলাম মোস্তফা বলেন, নদীর এপাড় ভাঙে ওই পাড় বাঁধে এটাই সত্য। গত কয়েক বছরের চর ভাঙতে ভাঙতে হাজার হাজার একর আম বাগানসহ ফসলী জমি পদ্মাগর্ভে চলে গেছে। ইতিমধ্যে চকরাজাপুর মোজার চিহ্ন হারিয়ে গেছে। কালিদাসখালী চরের তিনভাগের দুই ভাগ হারিয়ে গেছে। তবে ভাঙনের ভয়ে অনেকই কাঁচা ধান গোখাদ্যের জন্য কেটে নিয়ে যাচ্ছে।

এ বিষয়ে চকরাজাপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আজিজুল আযম বলেন, ভাঙনের বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।

সূত্র : যুগান্তর

রাজশাহী বার্তা/admin

এই বিভাগের আরও খবর