ডিজির পদত্যাগ অধিদপ্তরকে ঢেলে সাজাতে ভূমিকা রাখবে

সময়: 5:29 pm - July 22, 2020 | | পঠিত হয়েছে: 150 বার

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পদত্যাগ অধিদপ্তরকে ঢেলে সাজাতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বুধবার (২২ জুলাই) সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক প্রশ্নের জবাবে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

১৯৯১ সালের ঘুর্ণিঝড় ও ২০০৪ সালের বন্যার কথা উল্লেখ করে ড. হাছন মাহমুদ বলেন, ২০০৪ সালের বন্যায় বিএনপির অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানসহ বহু মন্ত্রী-নেতার বাড়ির চারপাশে নোংরা পানি ছিল। তারা গুলশান লেক সংস্কার করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন বলেই তা ঘটেছিল। অবান্তর কথা বলা বিএনপির অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। অবান্তর কথা না বলে তারা বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ালে বরং জনগণ উপকৃত হবে।

তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ভবিষ্যতে মহামারি মোকাবিলায় যাতে মানুষ এবারের মতো অসহায় হয়ে না পড়ে সেজন্য আমাদের বৈশ্বিকভাবে ভাবতে হবে। সেই লক্ষ্যে কাজ করতে হবে যাতে আমাদের উদ্যোগ, গবেষণা ও মনোনিবেশের অভাবে আরো কোনো মারাত্মক মহামারি মোকাবিলায় আমরা অসহায় না হয়ে পড়ি। এর আগে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশ (অ্যামচ্যাম) এর পক্ষ থেকে ‘অ্যামচ্যাম কোভিড-১৯ ফ্রন্টলাইন অ্যাওয়ার্ড’ ঘোষণার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইনে যুক্ত হন।

এ উদ্যোগের প্রশংসা করে মন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারির মধ্যেও যে সমস্ত সাংবাদিক, ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, মাঠ প্রশাসনের সদস্যসহ যারা জীবনে হাতে নিয়ে কাজ করে চলেছেন এবং যারা এই সেবা দিতে গিয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন, তাদের পুরস্কৃত করার এই উদ্যোগকে আমি অভিনন্দন জানাই। নামসর্বস্ব পত্রিকা ও সাংবাদিক নামধারীদের বিরুদ্ধে সরকার কোনো ব্যবস্থা নেবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী দেশের সাংবাদিকদের অত্যন্ত মেধাবী, প্রাজ্ঞ এবং সুলেখক বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, তাদের রিপোর্টিং সমাজের তৃতীয় নয়ন খুলে দিতে পারে, ভাষাহীনকে ভাষা দিতে ও ক্ষমতাহীনকে ক্ষমতাবান করতে পারে, যা অনেক সাংবাদিক নিষ্ঠার সাথে করে আসছেন। একইসাথে তিনি দুঃখ করে বলেন, কিছু সাংবাদিক পরিচয়ধারী, যারা আসলে সাংবাদিক নয়, তাদের কারণে পুরো সাংবাদিক সমাজের বদনাম হতে পারে না। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ নিয়ে আমরা কাজ শুরু করেছি, যেখানে সাংবাদিক ভাইদের, সাংবাদিক ইউনিয়নগুলোর এবং সাংবাদিকদের অন্যান্য সংগঠনগুলোসহ সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। যেহেতু এই অব্যবস্থা একদিনে হয়নি, দশকের পর দশক হয়ে আসছে, এটি ঠিক করতেও কিছুটা সময় লাগবে।

অ্যামচ্যাম প্রেসিডেন্ট সৈয়দ এরশাদ আহমেদের সভাপতিত্বে ভিডিও কনফারেন্সে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের উপ-প্রধান জো-অ্যান ওয়াগনার, অ্যামচ্যামের ভাইস প্রেডিসেন্ট সৈয়দ মো. কামাল ও আমন্ত্রিত অতিথিরা অনলাইনে যোগ দেন।

রাজশাহী বার্তা/admin

এই বিভাগের আরও খবর