বগুড়ায় ১৫ হাজার টাকা সুদে নিয়ে ৩৩ হাজার পরিশোধ, এখনও বাকি ৪৫ হাজার
বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় সুদের টাকা না দেয়ায় আবুল কালাম (৪৫) নামে এক রিকশাচালককে মারপিট করে এক হাত ভেঙে দিয়েছেন এক দাদন ব্যবসায়ী। এ ঘটনায় রিকশাচালক কালাম শাজাহানপুর থানায় অভিযোগ দিলেও পুলিশ এখন পর্যন্ত পদক্ষেপ নেয়নি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।
জানা যায়, উপজেলার খরনা ইউনিয়নের বাঁশবাড়িয়া উত্তরপাড়ার মৃত সোলাইমান আলীর ছেলে আবুল কালাম অভাবের তাড়নায় একই ইউনিয়নের উমরদীঘি গ্রামের মনতেজার রহমানের ছেলে দাদন ব্যবসায়ী ফরহাদ হোসেনের কাছ থেকে সুদের ওপর টাকা নিয়ে কাঁচা তরকারির ব্যবসা শুরু করেন। করোনার কারণে সময় মতো সুদের টাকা পরিশোধ করতে না পারায় দাদন ব্যবসায়ী ফরহাদ হোসেন সোমবার রাতে উমরদীঘি স্ট্যান্ডে রিকশাচালক আবুল কালামকে মারপিট করে হাত ভেঙে দেন। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেয়ার পরও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ।
আবুল কালাম বলেন, ছয় মাস আগে দাদন ব্যবসায়ী ফরহাদ হোসেনের কাছ থেকে মাসে শতকরা ৫০ টাকা হারে ১৫ হাজার টাকা সুদের ওপর নিয়ে তরকারির ব্যবসা শুরু করি। এরপর থেকে সপ্তাহে দুদিন মঙ্গল ও শনিবার প্রতি হাটে ৫০০ টাকা করে সুদের টাকা পরিশোধ করি। এভাবে ছয় মাসে ৩৩ হাজার ৫০০ টাকা পরিশোধ করেছি। কিন্তু করোনার কারণে ব্যবসা ভালো না হওয়ায় বর্তমানে ব্যবসা ছেড়ে ভ্যান চালিয়ে কোনোরকমে সংসার চালিয়ে আসছি।
মাস খানেক ধরে সুদের টাকা দিতে না পারায় দাদন ব্যবসায়ী ফরহাদ হোসেন বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিতে থাকেন এবং আরও ৪৫ হাজার টাকা দাবি করেন। সোমবার সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার পথে উমরদীঘি স্ট্যান্ডে আমাকে বেধড়ক মারপিট করে ডান হাত ভেঙে দেন।
দাদন ব্যবসায়ী ফরহাদ হোসেন বলেন, আবুল কালামকে ৩০ হাজার টাকা ধার দিয়েছিলাম। টাকা চাইলে টালবাহানা করে। তাকে সুদের ওপর টাকা দেইনি। এটা আমার পাওনা টাকা।
এ বিষয়ে শাজাহানপুর থানা পুলিশের ওসি আজিম উদ্দীন বলেন, অভিযোগের তদন্ত চলছে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রাজশাহী বার্তা/admin