ভোগের মধ্যে নয় ত্যাগের মধ্য দিয়েই শান্তি -শেখ হাসিনা
ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে জাতির পিতার আদর্শ বুকে নিয়ে ছাত্রলীগের মূলমন্ত্র ধারণ করে তোমরা এগিয়ে যাবে, সেটাই আমি চাই। ত্যাগের মধ্য দিয়েই শান্তি, ভোগের মধ্যে না। এই কথাটা সব সময় মনে রাখবে। জাতির পিতার আদর্শ নিয়ে যদি চল, দেশের মানুষকে কিছু দিতে পারবে।’
জাতীয় শোক দিবস’ উপলক্ষে সোমবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনে ত্যাগের কথা বলতে গিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা শুধু দিয়েই গেছেন, কিছু নিয়ে যাননি। যারা ১৫ই অগাস্টে শাহাদাত বরণ করেছেন, কাউকেই কিন্তু কোনো কাফন-দাফনও দেওয়া হয়নি, জানাযাও দেওয়া হয়নি। যেহেতু আমার বাবার লাশটা টুঙ্গিপাড়ায় নিয়েছিল, সেখানে মাওলানা সাহেব এবং যারা আশেপাশে ছিলেন, তারা জোর করেছিল বলে তাকে একটু গোসলের সুযোগ দিয়েছিল। কিন্তু কাফনের কাপড় সেটা কেনার মতো সেখানে দোকানও ছিল না, খোলাও ছিল না,কারফিউ দেওয়া হয়েছিল। সেই রেডক্রস হসপিটাল, আমার দাদির নামে একটা হসপিটাল করা হয়েছিল, সেখানে বেশ কিছু কাপড় রাখা ছিল। সেখান থেকে কয়েকটা কাপড় নিয়ে এসে সেই রিলিফের কাপড়ের পাড় ছিড়ে সেই কাপড় দিয়েই আমার বাবাকে কাফন দেওয়া হয়েছিল। অর্থাৎ তিনি তার গরিব মা,গ্রামের মানুষ,দরিদ্র মানুষ, তাদের যেটুকু দিতে পারতেন সেই কাপড়টা জড়িয়েই কিন্তু তিনি চলে গেছেন। বাংলার মানুষের কাছ থেকে কিছু নিয়ে যাননি। দিয়েই গেছেন। রক্তটাও দিয়ে গেছেন।”
আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ছাত্রলীগের প্রকাশনা ‘মাতৃভূমি’র মোড়কও উন্মোচন করেন।
আলোচনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য প্রমুখ।
রাজশাহী বার্তা/admin