বাল্যবিয়ে রেজিস্ট্রির চেষ্টা, কাজীর ৭ দিনের কারাদণ্ড
বাল্যবিয়ের সব আয়োজন সম্পন্ন ছিল। কনের বাড়িতে রান্না-বান্না শেষে বরপক্ষের লোকজনের ভোজও সম্পন্ন। কিন্ত বিয়ে রেজিস্ট্রির একটু আগে হাজির হন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এতে সবাই পালিয়ে গেলেও ধরা পড়েন কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন খান। কাজীকে ভ্রাম্যমাণ আদালত ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।
উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, ফুলালদুলিয়া গ্রামের রায়হান আলীর মেয়ে সুমা খাতুনের (১৫) সঙ্গে পাবনার ফরিদপুর উপজেলার ডেমরা গ্রামের গোলাম কিবরিয়ার ছেলে মনিরুল ইসলামের বিয়ে ঠিক হয়। কনে সুমী সুজানগর উপজেলার জাহানারা কাঞ্চন স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী। তার জন্ম সনদ অনুযায়ী বয়স মাত্র ১৫ বছর। বাল্যবিয়ের বিষয়টি গ্রামের কিছু সচেতন মানুষ জানার পর তারা উপজেলা প্রশাসনকে জানান।
খবর পেয়ে ইউএনও রওশন আলী পুলিশ ফোর্স নিয়ে বুধবার সন্ধ্যায় বিয়ে রেজিস্ট্রির প্রাক্কালে মেয়ের বাবার বাড়িতে আসেন। তিনি তাৎক্ষণিক বিয়ের সব প্রস্তুতি বন্ধ করে দেন। তাকে দেখে কনে, তার মা-বাবা এবং বরসহ বরযাত্রীরা পালিয়ে যান। তবে বিয়ের কাজীকে আটক করে পুলিশ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রওশন আলী ভ্রাম্যমাণ আদালত গঠন করেন। কাজীর কাছে থাকা অবৈধভাবে বিয়ে রেজিস্ট্রির বিভিন্ন কাগজপত্র জব্দ করা হয়।
ইউএনও বলেন, ইউনিয়নের কাজী বাল্যবিয়ে অপরাধ জানার পরও তিনি বিবাহ নিবন্ধনে কাজ করছিলেন। সুজানগর উপজেলাকে বাল্যবিয়ে মুক্ত করতে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।
সুজানগর থানার ওসি মো. বদরুদ্দোজা জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন খানকে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।
রাজশাহী বার্তা/admin