করোনাকালে পড়াশোনায় মন বসছে না সন্তানদের, মনোযোগী করার ৫ উপায়
করোনাভাইরাসের প্রভাবে বিশ্বজুড়ে মানুষের জীবনযাত্রা স্থবির। স্কুল বন্ধ, বাবা-মা অফিসের কাজ করছেন বাসা থেকে। সব মিলিয়ে তাদের ওপর চাপ পড়ছে বেশ। অনেক ক্ষেত্রে ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার বিষয়টা সামলে উঠতে পারছেন না তারা। তবে উপায় বাতলে দিয়েছে জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফ। সন্তানদের পড়াশোনায় মনোযোগী করে জীবনে ভারসাম্য ফিরিয়ে আনার পাঁচটি সহজ পথ দেখিয়েছে সংস্থাটি। অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে তা তুলে ধরা হলো-
১. একসঙ্গে বসে এমন রুটিন তৈরি করুন যা সন্তানের ধরাবাঁধা দিনপঞ্জি তৈরি করে। এর মধ্যে পড়াশোনা, খেলাধুলা থেকে শুরু করে ঘুমানোর সময় পর্যন্ত থাকবে। করোনা মহামারির সময় অল্প বয়সীদের এরকম কাঠামো খুব প্রয়োজন। এ রুটিনে তাদের নিজের প্রতিদিনের গৃহকর্মের সঙ্গে যুক্ত করুন।
২. সন্তানদের প্রশ্ন করতে শেখান। তাদের এমনভাবে বড় করে তুলুন যাতে তারা নিজেদের মনের কথা শেয়ার করতে ভয় না পায়। যেহেতু তারা ছোট, তাই তাদের মানসিক চাপ এবং অন্যান্য অনুভূতি প্রদর্শনের পথটা একটু অন্যরকম হতে পারে। তাই অনেকটা ধৈর্য নিয়ে বিষয়টি দেখতে হবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, ওদের বোঝান কোনটা সত্য আর কোনটা মিথ্যা। তারা যখনই কোনও সমস্যায় পড়বে বা কোনও দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগবে, যেন সরাসরি এসে কথা বলতে পারে।
৩. তাড়াহুড়ো করে সবকিছু একসঙ্গে শেখাতে যাবেন না। বরং ছোট ছোট লার্নিং মডিউল রাখুন। অনলাইনের সঙ্গে কিছু অফলাইন কাজও থাকুক। তাতে সুন্দর ভারসাম্য বজায় থাকবে।
৪. পড়াশোনা ও বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখতে এ মুহূর্তে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম বড় মাধ্যম। কিন্তু বেশি মাত্রায় অনলাইনে থাকা শিশুদের ব্যক্তিগত পরিসর, সুরক্ষা ঝুঁকির মুখে ফেলে। তাই অল্প বয়সী ছেলেমেয়েদের অনলাইন গতিবিধি সম্পর্কে খোঁজখবর রাখবেন। অনলাইন ক্লাসের সময় শিক্ষকদের সঙ্গে সহযোগিতা করুন।
৫. সন্তান যে স্কুলে পড়ে সেখানকার শিক্ষক বা স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন। খোঁজ নিন নতুন পড়াশোনার উপায় এবং অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে। যেহেতু বাড়িতেই এখন পড়াশোনা হচ্ছে, তাই শিক্ষক, বাবা-মায়েদের এবং অন্যান্য গ্রুপে নানা প্রশ্ন করুন। তাদের সহযোগিতা করুন।
রাজশাহী বার্তা/Durul Haque