চাঁপাইনবাবগঞ্জের রামচন্দ্রপুরহাটে টিসিবির পণ্য বিতরণের নামে চলছে সামাজিক দূরত্ব লঙ্ঘন
করোনা প্রতিরোধে সরকারি নির্দেশ মানছে না গ্রামাঞ্চলের সাধারণ মানুষ। সামাজিক দূরত্ব না মেনে রামচন্দ্রপুহাট-বাজারে কেনাকাটাসহ কিছু দোকানে আড্ডায় ব্যস্ত থাকছেন তারা। এতে করোনাভাইরাস সংক্রমণের শঙ্কা রয়েছে।
(১৬ এপ্রিল) বৃহস্পতিবার সকালে সরজমিনে রামচন্দ্রপুরহাটের ফুলতলা (গরু হাট) গিয়ে দেখা যায় মানুষের উপচে পড়া ভিড়। সরকারি টিসিবির পন্য বিক্রয়ে সামাজিক দূরত্ব মানছে না ক্রেতা ও বিক্রেতা কর্তৃপক্ষ কেউ। নির্দেশনা উপেক্ষা করে হাটে টিসিবি’র পন্য বিক্রয় এবং জনসমাগম সৃষ্টি হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সচেতন মানুষ।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে প্রতিটি কাঁচা বাজার ও পাইকারি বাজার খোলা জায়গায় বসানোর নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। নির্দেশনানুযায়ী ৬ নং রানিহাটী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ মহসিন আলির সার্বিক সহযোগিতায় রামচন্দ্রপুরহাটের কাঁচাবাজার বুধবার (১৫ এপ্রিল) থেকে কৃষ্ণগোবিন্দপুর হাইস্কুল মাঠে নিয়ে যান। তারপরেও সামাজিক দুরত্ব মানছেনা এলাকার অসচেতন মানুষ।
লক্ষ্য করা যায়, সারাদেশের ন্যায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা জুড়ে দায়িত্বের সাথে জেলা প্রশাসন, র্র্যাব, পুলিশ, সেনাবাহিনী দিন-রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
হাটে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে আসা গার্মেন্টস ব্যবসায়ী কৃষ্ণগোবিন্দপুর-কলেজপাড়া গ্রামের মোঃ অহেদুল ইসলাম বলেন, সকালে কেনাকাটা করতে হাটে আসতে হয়। তাই আজ হাটে এসেছি কাঁচামাল কিনতে। যেহেতু কাঁচা বাজার স্কুল মাঠে স্থানান্তর করা হয়েছে, আর এতগুলো দোকান হাটে অবস্থিত তাই এক সাথে সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছে না এটাই স্বাভাবিক। তিনি আরও বলেন, আমি সরকারি নির্দেশনাকে সন্মান দেখিয়ে দোকান বন্ধ রাখলেও অনেক দোকানী মানছেনা এই নির্দেশনা।
রামচন্দ্রপুরহাটের স্থানীয় বাসিন্দা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, সমাজসেবক আলহাজ্ব গোলাপ হোসেন (জেন্টু হাজি) বলেন, ফুলতলায় টিসিবির পন্য বিক্রয়ের নামে চলছে সরকারি নির্দেশনাকে তোয়াক্কা না করে হাজারো মানুষের সমাগম। তিনি আরও বলেন, অধিক সংখ্যক মানুষ সামাজিক দূরত্বের নির্দেশ অমান্য করে অপ্রয়োজনেও হাটে আসছে । এতে করোনাভাইরাসের সংক্রমন ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি বেড়ে যাবে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আলমগীর হোসেন ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ জিয়াউর রহমান বিপিএম বলেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে মানুষকে সামাজিক দুরত্ব ও ঘরে থাকতে বলা হচ্ছে। অতিপ্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হবেন না। সব ধরনের জনসমাগম রোধ করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নিয়মিত টহল দিচ্ছে।
ভিড় দেখলে সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা যেয়ে তাদের বোঝাচ্ছে। তারা চলে আসার পর আবার স্থানীয়রা আবার জড়ো হচ্ছেন। নিজেরা যদি সচেতন না হন তাহলে চলবে কি করে। আসুন সবাই সচেতন হয়ে ঘরে থাকি করোনা ভাইরাসকে না বলি।
রাজশাহী বার্তা/admin