রাজশাহী নগরবাসীর এখন অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র বাড়ির ছাদ
করোনাভাইরাস আতঙ্কে দিনভর বাসার ভেতর থেকে এক ধরনের বন্দি জীবন কাটছে নগরবাসীর। তবে দিন শেষ বিকেলে মুক্তির স্বাদ পেতে ছাদে উঠে সময় কাটাচ্ছেন অনেকেই। শিশু থেকে বৃদ্ধ সব বয়সের মানুষ বুক ভরে শ্বাস নিতে ছাদে পায়চারী করছেন কিছু সময়। আবার কোনো কোনো ছাদে বিভিন্ন ধরনের খেলাতেও মেতে উঠছেন পরিবারের লোকজনসহ ভাড়াটিয়ারা।
এর পাশাপাশি চলছে খোশগল্প ও আড্ডা। যেন প্রতিটি বাড়ির ছাদই হয়ে উঠেছে এক একটি বিনোদন কেন্দ্র। স্বাভাবিক সময়ে এমন দৃশ্য তেমন চোখেই পড়ে না। কিন্তু করোনাভাইরাসে আতঙ্কিত নগরবাসী এখন বিকেলে বিকেলে সময়টা ছাদে কাটাচ্ছেন। আবার সন্ধ্যার পরেও গভীর রাত পর্যন্ত অনেকে গরমকে তাড়াতে বাড়ির ছাদ কে বেছে নিচ্ছেন। হলে বাড়ির ছাদগুলোই নগরবাসীর জীবনে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
গৃহকর্তা-গৃহকর্ত্রী যারা জীবিকার তাগিদে চাকরি, ব্যবসা কিংবা অন্য কোনো পেশায় রয়েছেন, ভোর থেকে তাদের ব্যস্ততা শুরু হয়। ছেলেমেয়েদের স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানোর জন্য নাস্তা তৈরি, নিজে কিংবা চালককে দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠিয়ে কর্মস্থলে ছুটে যাওয়া এবং দিনভর ব্যস্ততায় যাদের সময় কাটতো, সেসব ব্যস্ত মানুষের করোনা নামক অদৃশ্য ভাইরাসটি এক প্রকার ঘরবন্দি করে ফেলেছে। সংক্রমিত হওয়ার ভয়ে তারা অত্যাবশ্যক প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে যাচ্ছেন না বা যেতে পারছেন না। এ কারণে শেষ বিকেলে বাসার ছাদে উঠে যেন বন্দিদশা থেকে মুক্তির স্বাদ পাচ্ছেন।
রাজশাহীর তেরোখাদিয়া এলাকার বাসিন্দা হযরত আলী বলেন, ছাদেই করোনা আতঙ্কে কাটছে সময়। আগে অফিস থেকে ফিরে সন্ধ্যায় মোড়ে গিয়ে সময় কাটাতাম। এখন সারাটাদিন কাটছে বাড়ি আর ছাদে। আরেক নারী সুরাইয়া পারভীন বলেন, আগে এত লোক ছাদে দেখা যেত না। এখন বিকেলে উঠে যেদিকে তাকানো যায়, সেদিকে ছাদে লোক আর লোক। সবাই যে যার মত সময় কাটাচ্ছে ছাদে।
ব্যাংক কর্মকর্তা আবু তৈয়ব বলেন আগে ব্যাংক থেকে সময় কত দিনের অধিকাংশ সময় আর এখন বাড়ি আর বাড়ির ছাদের বাগানে বিভিন্ন গাছের পরিচর্যা করে সময় কাটছে।
রাজশাহী বার্তা/admin