চাঁপাইনবাবগঞ্জে নদীতে নিখোঁজের একদিন পর শিশুর মরদেহ উদ্ধার
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর উপজেলায় মহানন্দা নদীতে নিখোঁজের ২২ ঘন্টা পর এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী দল। মঙ্গলবার (২৩’জুন) দুপুরে ডুবে নিখোঁজ হয় শিশু শম্পা খাতুন (১৩)। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় ১ দিন (২২ ঘন্টা) চেষ্টার পর বুধবার (২৪’জুন) দুপুরে নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় শম্পার লাশটি উদ্ধার করা হয় ।
মৃত শিশু শম্পা সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়নের শিমুলতলা গ্রামের (৮নং ওয়ার্ড) মৃত মিজানুর রহমানের মেয়ে ও শিমুলতলা আইডিয়াল কেজি স্কুলের ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ষ্টেশন অফিসার মেহেরুল ইসলাম জানান,মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে শিমুলতলা গ্রামের বেলতলা ঘাটে গোসল করতে গিয়ে নিখোঁজ হয় শম্পা। খবর পেয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের একটি উদ্ধারকারী দল ও রাজশাহী থেকে আসা ডুবুরী দল বিকেল সাড়ে চারটার দিকে নদীতে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। কিন্তু শম্পার কোন সন্ধান না পেয়ে ও রাজশাহী অঞ্চলে ডুবুরী সংকটের কারনে রাত ৮টার দিকে অভিযান স্থগিত করা হয়। পরদিন (বুধবার) শম্পার লাশটি ভেসে উঠলে স্থানীয়রা খবর দিলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দুপুরে লাশটি উদ্ধার করে।
অন্যদিকে বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষধের চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলাম বলেন, ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার অভিযান স্থগিত করলেও পরিবারের সদস্যরা নৌকা ও জাল নিয়ে নদীতে উদ্ধার তৎপরতা চালাতে থাকে। এক পর্যায়ে বুধবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ডুবে যাবার স্থান থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দুরে বালুগ্রাম তেকোনা মোড় (তাহিরপুর) সংলগ্ন নদীতে শম্পার ভাসমান মরদেহ পাওয়া যায়।
সদর থানার উপপরিদর্শক(এসআই) জালাল উদ্দিন বলেন, পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে শম্পার মরদেহ ময়নাতদন্ত না করেই পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
রাজশাহী বার্তা/বার্তা সম্পাদক