চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট সীমান্তে মহানন্দায় ভাসছে ৩ মরদেহ
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট সীমান্তে মহানন্দা নদীতে তিনটি মরদেহ ভাসছে। স্থানীয়দের দাবি, মরদেহগুলো বাংলাদেশিদের এবং ১ অক্টোবর গভীর রাতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে তাদের মৃত্যু হয়েছে।
স্থানীয় জেলে সানাউল হক, আমিন আলী, মোহন আলী বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে দু’টি গুলির শব্দ আমরা শুনেছি। এরপর শুক্রবার সকাল থেকে স্থানীয় পোলাডাঙ্গা বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা আমাদের নদীতে মাছ ধরতে দেয়নি। আবদুল জলিল নামে এক জেলে বলেন, জাল তুলে আনতে গিয়ে নদীর শেষ সীমানায় একটি মরদেহ ভাসতে দেখেছি।
আর জেলে সাদিকুল ইসলাম বলেন, নদীর শেষ সীমানায় বেগুন ক্ষেতের পাশে দু’টি মরদেহ একসঙ্গে বাঁধা অবস্থায় দেখেছি। এরপর থেকে আমরা আতঙ্কে আছি। এদিকে ভোলাহাটের কয়েকজন চোরাকারবারি নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা গেছে। এর মধ্যে নামো পাঁচটিকরী গ্রামের সাজেদ আলীর ছেলে মিজানুর রহমান ইঞ্জিল (৩৫) ও একই এলাকার দুরুল হোদার ছেলে নুর মোহাম্মদ ওরফে নুরুদ্দীন (২৮) রয়েছেন। এছাড়া মিজানুর রহমানের পরিবার আত্মগোপনে রয়েছে। তবে নিখোঁজ ব্যক্তিদের পরিবারের দাবি, কাউকে কিছু না জানিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন তারা।
নিখোঁজ নুর মোহাম্মদের বাবা দুরুল হোদা জানান, বৃহস্পতিবার রাতে স্থানীয় চৌকিদারের মাধ্যমে জানতে পারি বিএসএফের গুলিতে নুর মোহাম্মদ মারা গেছেন। যেভাবেই হোক মরদেহটা ফেরত পাওয়ার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৫৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহমুদুল হাসান জানান, ঘটনাটি জানার পর থেকে মহানন্দা নদী থেকে ভাসমান মরদেহগুলো উদ্ধারে অভিযান চালানো হচ্ছে। বিএসএফের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা এ ধরনের কোনো ঘটনা জানে না বলে জানিয়েছে। তিনি আরও জানান, নিরাপত্তাজনিত কারণে বজরাটেক আলীসাহাসপুর সীমান্তের মহানন্দা নদীতে মাছ ধরা বন্ধ রাখা হয়েছে।
রাজশাহী বার্তা/admin