চাঁপাইনবাবগঞ্জে বন্ধ দোকানপাট; একসাথে দু’জনের চলাচল নিষিদ্ধ

সময়: 9:35 pm - March 25, 2020 | | পঠিত হয়েছে: 1101 বার

চাঁপাইনবাবগঞ্জে গতকাল সন্ধ্যা থেকে জেলার সকল মার্কেট ও বিপনী বিতানগুলো বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। ফলে ওধুধ, কাঁচা বাজার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকান ছাড়া সকল দোকান বন্ধ রয়েছে।

এতে করে শহরে মানুষের সমাগম প্রায় বন্ধ রয়েছে। খেলার মাঠগুলো রয়েছে শুন্য। চলাচল করছে না পাবলিক পরিবহণ। স্থানীয়ভাবে অটোসহ রিক্সা চলাচল করছে সীমিত আকারে। তবে বুধবার দুপুর ২টার পর থেকে একসাথে দু’জনের চলাচল নিষিদ্ধ করার পর পুরো শহর ফাঁকা একটি শহরে পরিণত হয়েছে। খাঁ-খাঁ করছে রাস্তা-ঘাট। এদিকে, গত ২৪ঘন্টায় ৭৬৯ জন থেকে বেড়ে হোম কেয়ারেন্টাইনে থাকার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮১২ জনে। এরা সবাই অষ্ট্রেলিয়া, সৌদি আরব, দক্ষিণ করিয়া, সিংগাপুর, ইরাক, কুয়েত, শ্রীলংকা, কাতার, মালোয়েশিয়া, সুদান ও ভারত থেকে এসেছে।

উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আজ বুধবার নতুন একজন রোগী মারা গেছেন বলে জানিয়েছে আইইডিসিআর। এ নিয়ে কোভিড-১৯ ভাইরাসে বাংলাদেশে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ জনে।

বুধবার দুপুরে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত অনলাইন লাইভ ব্রিফিংয়ে রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় এই প্রাণঘাতী ভাইরাসে নতুন কেউ আক্রান্ত হননি। এখন পর্যন্ত সাত রোগী সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরেছেন।

মারা যাওয়া রোগীর বিবরণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, বিদেশ থেকে আসা আক্রান্ত এক রোগীর পরিবারের সদস্য তিনি। গত ১৮ মার্চ তার শরীরে কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছিল। ‘তখন এলাকার একটি হাসপাতালে আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন ওই বৃদ্ধ। পরবর্তী সময়ে তার ক্লিনিক্যাল পরিস্থিতি খারাপ হলে স্থানীয় হাসপাতাল থেকে ঢাকার কুয়েতমৈত্রী হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। গত ২১ মার্চ থেকে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন ছিলেন।’

অধ্যাপক সেব্রিনা বলেন, ৬৫ বছর বয়সী ওই বৃদ্ধ ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপে ভুগছিলেন। এসব কারণেই বুধবার সকালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তিনি বলেন, এখন আইসোলেশনে আছেন ৪৭ জন ও প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন ৪৭ জন। অতি প্রয়োজনের ঘরের বাইরে না যেতেই ১০ দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৭৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুসারে যাদের পরীক্ষা করা প্রয়োজন, তাদেরই পরীক্ষা করা হচ্ছে বলে তিনি জানান। এর আগে মঙ্গলবার দেশে করোনাভাইরাসে ছয়জন আক্রান্ত হন। দেশে এ পর্যন্ত মোট ৩৯ জনের মধ্যে এ ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। তাদের মধ্যে আরও দুইজন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। ফলে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো মোট সাতজনে।

বাংলাদেশে এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে গত ৮ মার্চ। এর পর থেকে এ ভাইরাসে সংক্রমণের সংখ্যা বেড়েছে। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের উহানে প্রথম শনাক্ত হওয়া করোনাভাইরাস এখন বৈশ্বিক মহামারী। ইতোমধ্যে ভাইরাসটি বিশ্বের ১৯৪টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। সংক্রমিত হয়েছেন তিন লাখ ৭৭ হাজার। আর মৃত্যু হয়েছে সাড়ে ১৬ হাজারের বেশি।

রাজশাহী বার্তা/admin

এই বিভাগের আরও খবর