চাঁপাইনবাবগঞ্জে করোনায় ৮ আসামীর সাজা মওকুফের নির্দেশনা
প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস সংক্রমণের এই পরিস্থিতিতে চাপ কমাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ কারাগারের এখন পর্যন্ত ৮ আসামীর সাজা মওকুফ করার নির্দেশনা দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। রবিবার দুপুর পর্যন্ত ৩ আসামীকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। বাকি ৫ জনের বিভিন্ন পরিমানে অর্থদন্ড থাকায় তা পরিশোধ করলেই ছাড়া পাবে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কারাগারের জেলার মো. ইসমাইল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে সারাদেশে অপেক্ষাকৃত কম সাজাপ্রাপ্ত আসামীদের সাজা মওকুফ করে মুক্তি দেয়ার উদ্যোগ নেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এরই ধারাবাহিকতায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কারাগার কর্তৃপক্ষ কয়েকধাপে যাচাই-বাছাই শেষে ১’শ ০২ জন এমন আসামীর তালিকা করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করে।
গত শনিবার প্রথম ধাপে ১ জন আসামীর সাজা মওকুফের নির্দেশনা আসার পর সেদিনই তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, দ্বিতীয় ধাপে রবিবার সকালে আরো ৭ জনের সাজা মওকুফের আদেশ আসে। রবিবার বেলা ২টা পর্যন্ত দুইজনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। বাকি পাঁচজনের অর্থদন্ড পরিশোধ করা হলেই ছেড়ে দেয়া হবে৷ যে ৩ জন ছাড়া পেয়েছেন তারা হলেন- শিবগঞ্জ উপজেলার মিস্ত্রিপাড়া-বড়হাদিনগর এলাকার মো. ওহাবের ছেলে তরিকুল ইসলাম, মনাকষার শ্রী ভুপেনের ছেলে শ্রী মনোজিত, কালিগঞ্জের মৃত সাজ্জাদ আলীর ছেলে মো. সুলতান। সাজা মওকুফ হওয়া বাকি ৫ জন হলো- শিবগঞ্জ উপজেলার চাপড়ীপাড়া-জগন্নাথপুর গ্রামের মো. আলকেসের ছেলে মো. আব্দুর রহিম, টিয়াকাঠি-সোনারমাঠপুর এলাকার ডা. মো. তোজাম্মেলের ছেলে মো. বুলবুল আহমেদ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার সিসিডিবি মোড়ের মৃত হাসান আলী বাবুর ছেলে মো. ইব্রাহিম আলী, আরামবাগ পশ্চিমপাড়ার মো. সুরাতুজ্জামানের ছেলে মো. সুমন পারভেজ ও সদর উপজেলার ঘোড়াপাখিয়া মলিস্নকপাড়ার মৃত সাজাহান আলীর ছেলে মো. সামিউল আলী।
জেলা কারাগারের এই কর্মকর্তা আরো জানান, সাজা মওকুফ হওয়া সকল আসামী সর্বোচ্চ ০১ বছর সাজার আদেশপ্রাপ্ত এবং সকলেই মাদক মামলা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাজাপ্রাপ্ত। তৃতীয় ধাপে সবশেষ ও আরো একবার সাজা মওকুফের নির্দেশনা আসার কথা রয়েছে।
উল্লেখ্য, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কারাগারে ১৭৫ জনের ধারন ক্ষমতার বিপরীতে বর্তমানে রয়েছে ৯’শ ৬৯ জন আসামী।
রাজশাহী বার্তা/Faruk Ahmed