চাঁপাইনবাবগঞ্জে কোচিং সেন্টার খোলা ও চাল মজুদের অপরাধে প্রায় ৪ লাখ জরিমানা
করোনা ভাইরাসকে কেন্দ্রে করে চাঁপাইনবাবগঞ্জে চালের গুদাম ও কোচিং সেন্টারে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযানে চাল গুদামজাত ও মজুদের অপরাধে ৪ জনকে ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা ও একটি কোচিং সেন্টার খোলা রাখার দায়ে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
জরিমানাকৃতরা হচ্ছে, পৌর এলাকার নামোশংকরবাটী বড়িপাড়ার জনি অটোরাইস মিলের মালিক সফিকুল ইসলাম, চাল মজুতদারকারী মাহবুব হোসেন, দক্ষিণচরা গ্রামের শরিফুল ইসলাম, টনি আলী ও কনফিডেন্স প্রাইভেট হোম কোচিং সেন্টারের মালিক মাইনুল ইসলাম।
চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে রোববার বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার আঙ্গারিয়াপাড়া, নামোশংকরবাটী বড়িপাড়া ও টিকরামপুরে এসব অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ছিলেন, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আলমগীর হোসেন। এ সময় সদর মডেল থানা পুলিশের ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর জেলা শাখার সহকারী পরিচালক মো. জহিরুল ইসলামসহ গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক মো. আলমগীর হোসেন জানান, গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে অভিযানে ৪ কোটি টাকা মূল্যের মজুদকৃত চাল বাজারে ছেড়ে দেবার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
তিনি আরো জানান, অবৈধভাবে নিজ বাসায় কোচিং সেন্টারে ৮০ জন শিক্ষার্থীকে নিয়ে কোচিং সেন্টার খোলা রেখেছিলেন। সম্প্রতি অবৈধ মজুদের কারণে চালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষিতে উক্ত অভিযানের বিষয়ে স্থানীয় জনগণ সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং বাজারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশা করা যায়।
রাজশাহী বার্তা/admin