চাঁপাইনবাবগঞ্জে বেকার ১ হাজার স্বর্ণ কারিগর

সময়: 12:12 pm - April 24, 2020 | | পঠিত হয়েছে: 1395 বার

করোনা কারণে চাঁপাইনবাবগঞ্জের স্বর্ণ-শিল্পের মালিকদের দোকান বন্ধ থাকায় স্বর্ণশিল্পী কারিগররা মানবেতর জীবন-যাপন করছে। সারাবছর টুংটাং শব্দে স্বর্ণ কারিগররা কাজ করলেও এখন একেবারে পুরোপুরি বেকার তারা। তাদের হাতে কাজ থাকলেও দোকান বন্ধ রেখেছে দোকান মালিকরা।

স্বর্ণ-কারিগরদের সাধারণ সময় ছাড়াও বিশেষ করে বিয়েসহ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে তাদের কাজ বেশী হয়ে থাকে। সবচেয়ে বড় মৌসুম রোজার ঈদ ও ঈদুল আজহায় তাদের কাজের পরিমাণ সবচেয়ে বেশী। করোনার কারণে সরকারি নির্দেশনায় গত ২৬ মার্চ থেকে সকল অনুষ্ঠান বন্ধ রাখাসহ অত্যাবশকীয় দোকান ব্যতীত সকল দোকান বন্ধ করে দেয়া হয়।

এতে করে স্বর্ণের দোকান মালিকরাও বন্ধ করে দেয়। আয় বন্ধ হয়ে পড়ায় জেলার বড়, মাঝারি ও ক্ষুদ্র মালিকরাও এখন বিপর্যস্ত, পাশাপাশি কারিগররা পরিবার-পরিজন নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়েছে। এই অনিশ্চয়তা কবে নাগাদ কাটবে তারও কোনও ধারণা নেই। জেলা শহরের পুরাতনবাজার, বাসুনিয়াপট্টি, হুজরাপুর, দাউদপুর রোডসহ বিভিন্ন স্থানে স্বর্ণের দোকান রয়েছে। কারিগররা বিভিন্ন ডিজাইনের গহনা তৈরিতে রাত পর্যন্ত কাজ করতেন।

কারিগরদের চিরচেনা টুংটাং শব্দে কারখানাগুলো মুখরিত হয়ে উঠতো, এখন একেবারে সুনশান শব্দ। তাদের মধ্যে চলে এসেছে একরকম স্থবিরতা। শহরের পুরাতনবাজারের জনি জুয়েলার্সের স্বত্বাধিকারী মোঃ মোশতাকিম হোসেন জানান, করোনার কারণে সরকারি নির্দেশনানুযায়ী ২৬ মার্চ থেকে দোকানসহ কারখানা বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে মালিকরা অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে. তেমনি কারিগররাও বেকার হয়ে পড়েছে। তাদের হাতে তেমন অর্থ নেই। স্বর্ণ শ্রমিক শিল্পী সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য নাইম হোসেন জানান, করোনার প্রভাবে সকল জুয়েলারি ব্যবসার পাশাপাশি সমস্ত কারখানা বন্ধ রয়েছে।

বেকার হয়ে পড়েছে জেলা শহরের প্রায় ৫’শ কারিগরসহ জেলায় ১ হাজার স্বর্ণের কারিগর। ফলে শ্রমিকরা কর্মহীন হয়ে পড়ায় তারা এখন মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছেন। নিজ নিজ কর্মস্থান ও কারখানা বন্ধ রেখে বাড়ীতে অবস্থান করছেন তারা। এ পরিস্থিতিতে শ্রমিকদের বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন তারা।

রাজশাহী বার্তা/admin

এই বিভাগের আরও খবর