শিবগঞ্জে সাঈদীর মুক্তি চেয়ে পদ হারালেন যুবলীগ নেতা
জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা ও যুদ্ধাপরাধী মামলায় আমৃত্যু সাজাপ্রাপ্ত আসামি মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর মুক্তি চেয়ে পদ হারালেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়ন যুবলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এ এইচ এম ইব্রাহিম খলিল। বিনোদপুর ইউনিয়ন যুবলীগের শরিফুল ইসলাম ডুডু ও সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ বহিস্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সোমবার সকালে সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বিনোদপুর ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি ডুডু। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গঠনতন্ত্রের ২২ এর ৩৯; ক এর ৩৯ ধারা মোতাবেক বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এইচ এম ইব্রাহিম খলিলকে সাময়িক অব্যহতি প্রদান করা হলো এবং সুপারিশসহ চূড়ান্ত শাস্তির জন্য কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়ামের নিকট প্রেরণ করা হবে। উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক তোসিকুল ইসলাম টিসু বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ নিয়ে নাটক করে কেউ বেশিদিন টিকতে পারে না। অনেকেই সুযোগ বুঝে ভোল পাল্টিয়ে দলে ভিড়েছে। কিন্তু একটা সময় তাদের আসল চরিত্র ফুটে উঠে। সেই রকমই কাজ করেছে ইব্রাহিম খলিল।
ফলে তাকে যুবলীগ থেকে থেকে অব্যহতি দেয়া হয়েছে এবং চূড়ান্ত বহিস্কারের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। আত্মপক্ষ সমর্থন করে এ এইচ এম ইব্রাহিম খলিল বলেন, স্থানীয় কয়েকজন আলেম আমাকে বলেন- দেশের সব ধর্মীয় নেতারা এক হয়ে সাঈদীর মুক্তি যাচ্ছে সেখানে আপনি কেন চাইছেন না। আপনি সাঈদীর মুক্তি চেয়ে কিছু বলেন। পরে তাদের কথামত আমি ফেইসবুকে দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর মুক্তি চেয়ে একটি ভিডিও দিই।
কিন্তু পরে বিষয়টি স্থানীয় যুবলীগ নেতাদের চোখে পড়লে তারা আমাকে ভিডিওটি ডিলিট করতে বললে আমি সাথে সাথে সেটা রিমুভ করে ফেলি। এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. আসাদুল হক আসাদ বলেন, ইব্রাহিম খলিল দলীয় শৃঙ্খলা ও নীতি অবমাননা করে জামায়াত নেতা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর কারামুক্তি চেয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেন, যা নীতি, আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী। তাই তার যুবলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ততা থাকা সংগঠনটির জন্য লজ্জাজনক।
রাজশাহী বার্তা/admin