করোনাকালে এমপি হারুনুর রশীদের ভুমিকা শূন্য?

সময়: 6:12 pm - May 11, 2020 | | পঠিত হয়েছে: 2346 বার

প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস সংক্রমণের পরিস্থিতিতে থমকে গেছে জনজীবন। সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে খেটে-খাওয়া, অসহায়, দরিদ্র জনগোষ্ঠী। ঘরে থাকা কর্মহীন মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে সরকার, ব্যক্তি ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন। তবে জনমনে প্রশ্ন, এই পরিস্থিতিতে কোথায় রয়েছেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও বিএনপির যুগ্ন মহাসচিব হারুনুর রশীদ? নিজ নির্বাচনী এলাকা সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এমপি হারুনের নামে ব্যক্তিগত ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে প্রাপ্ত খাদ্যসামগ্রী  বিএনপি নেতারা বিতরণ করলেও, এখন পর্যন্ত এমপি হারুনের দেখা নেয়।

কয়েকটি সূত্রের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া গেছে, নিজেই করোনা আতঙ্কের কারনে রাজধানী ঢাকায় অবস্থান করছেন বিএনপির যুগ্ন মহাসচিব হারুনুর রশীদ। এনিয়ে প্রশ্ন উঠেছে একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে তার ভূমিকা নিয়ে! এমনকি পদাধিকারবলে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটিরও সদস্য তিনি। অথচ, কোন সভাতেই নেয় তার অংশগ্রহণ।

স্থানীয় ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও সাবেক এমপি-জনপ্রতিনিধিরাও যেখানে কর্মহীন পরিবারের মাঝে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন, তখন এই দুর্যোগের সময়ে এমপি হারুনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়নের পঞ্চাশোর্ধ এক কৃষক বলেন, যদি এই করুন পরিস্থিতিতেও তাকে কাছে না পাবো, তাহলে আমরা কি জন্য ভোট দিয়ে তাকে এমপি করেছি? ভোটের আগে আমাদের তো বলেছিলেন, সবসময় পাশে থাকবেন। কিন্তু সাহায্য তো দুরের কথা, তার কোন দেখায় নাই।

জেলা শহরের বিদিরপুর এলাকার রিক্সাচালক রাকিব জানান, এক মাস পার হয়ে গেল, শহরে রিক্সা চালাতে পারছি না। ইনকাম নাই, আর কতদিন বসে বসে খাবো? বের হলেই পুলিশের চেকপোস্টের সামনে পড়তে হচ্ছে। এই অবস্থায় যদি আমাদের এমপি কিছু করতো, তাহলে খুব ভালো হতো। কিন্তু এখন তো তাদের দেখায় নাই।

অবসরপ্রাপ্ত একজন শিক্ষক বলেন, সাহায্য নয়, এই সময়ে যদি নিজ নির্বাচনী এলাকার জনসাধারণকে সচেতন করতেও এমপি সাহেব মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরেন, তাতেও মানুষ খুশি হবে। করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় একটু আত্মবিশ্বাস, ভরসা খুঁজে পাবে অসহায়, দরিদ্র, খেটে-খাওয়া মানুষগুলো। নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের একজন শিক্ষার্থী বলেন, ভোটের সময় এসব অসহায় দরিদ্রের একটি ভোট নেয়ার জন্যই হাত-পা ধরে ভিক্ষা চেয়েছেন। এখন দুর্যোগের সময় তাদের থেকে দূরে থাকলে, এই মানুষগুলো কোনদিন ক্ষমা করবে না।

১৯৯৮ সালের ভয়াবহ বন্যার সময় এমপি হারুনের বিদেশে অবস্থানকে সমালোচনা করে একজন মুক্তিযোদ্ধা জানান, তখনও তিনি জনগনের পাশে ছিলেন না, এখনও নেয়। এমপির এমন কর্মকান্ডে জনপ্রতিনিধিদের প্রতি আস্থা হারাবে দেশের জনগন। এবিষয়ে বিএনপির যুগ্ন মহাসচিব হারুনুর রশীদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

রাজশাহী বার্তা/Faruk Ahmed

এই বিভাগের আরও খবর