সরকার ওয়াজ মাহফিলে বাধা দিচ্ছে : এমপি হারুনের বক্তব্যে উত্তপ্ত সংসদ

সময়: 8:15 am - January 31, 2020 | | পঠিত হয়েছে: 632 বার

সরকার ওয়াজ মাহফিলে বাধা দিচ্ছে বলে জাতীয় সংসদে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ। এতে তার বিরুদ্ধে জামায়াতে ইসলামীর ইন্ধনে এমন উসকানিমূলক বক্তব্য দেয়ার অভিযোগ তুলেছেন সরকারি দলের সংসদ সদস্যরা।

বৃহস্পতিবার একাদশ জাতীয় সংসদের ষষ্ঠ অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে হারুনুর রশীদ সংবিধানে থাকা বিসমিল্লাহ এবং ওয়াজ মাহফিল নিয়ে মন্তব্য করেন। এতে সরকারি দলের সংসদ সদস্যরা প্রতিবাদ জানাতে থাকলে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে অধিবেশন।

তারা বক্তব্য দিতে উঠে বলেন, বিএনপির এমপি ধর্মের নামে মিথ্যাচার করছে এবং জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চাচ্ছেন। এ ছাড়া জামায়াতপন্থীদের প্রতিনিধি হয়ে তিনি সাম্প্রদায়িক উসকানি দিচ্ছেন বলে অভিযোগে দাবি করা হয়।

সরকারি দলের সংসদ সদস্যরা বলেন, যারা প্রকৃত তাফসির মাহফিল বা উরস করছেন বা বিভিন্ন স্থানে ইসলামী জলসা করছেন, তাদের বরং রাষ্ট্র ও সরকার পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে যাচ্ছে।

এ সময় সংসদের কার্যবিবরণী থেকে তারা বিএনপি এমপি হারুনুর রশীদের বিভ্রান্তিকর ও আপত্তিকর বক্তব্য এক্সপাঞ্জের দাবিও জানান।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে হারুন বলেন, রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি সংশোধিত সংবিধানে পূর্বে থাকা সর্বশক্তিমান আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস হবে যাবতীয় কাজের ভিত্তি উঠিয়ে দেয়া হয়েছে। অথচ রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম রাখা হয়েছে।

তিনি বলেন, সংবিধানের প্রস্তাবনায় পূর্বের বিসমিল্লাহির রাহমানের রাহিম-এর পরিবর্তে সংযোজিত হয়েছে ‘দয়াময় পরম দয়ালু আল্লাহর নামে, পরম করুণাময় সৃষ্টিকর্তার নামে’। বিসমিল্লাহির রাহমানের রাহিমের প্রকৃত অর্থ সংবিধানে সংযোজিত হওয়া উচিত।

এমপি হারুন অভিযোগ করেন, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টানরা তাদের সামাজিক বিভিন্ন অনুষ্ঠান করে চলেছেন। অথচ যারা ইসলাম ধর্মের অনুসারী, তারা তাফসির মাহফিল করতে গেলে নিষেধাজ্ঞা ও আপত্তি আসছে। এ সময় সরকারি দলের সংসদ সদস্যরা ‘নো নো’ বলে তীব্র প্রতিবাদ জানাতে থাকেন।

পরে এ প্রসঙ্গে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজ বলেন, দেশে মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান সবাই সমানভাবে নিজ নিজ ধর্ম পালন করছেন। দেশের সব জায়গায় জেলা-উপজেলা, ইউনিয়ন ও গ্রাম পর্যন্ত ওয়াজ মাহফিল হচ্ছে, আল্লাহ-রাসুলের কথা বলা হচ্ছে।

তিনি বলেন, শুধু জামায়াতি পন্থায় বিভ্রান্তিকর শিক্ষা-দীক্ষা যাতে মানুষ না নেয়, যাতে তারা দেশটাকে জঙ্গিরাষ্ট্রে পরিণত না করতে পারে, সে জন্যও মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

‘কিন্তু ইসলামের কোনো কার্যকলাপে সরকারের পক্ষে বাধা সৃষ্টির প্রশ্নই ওঠে না। মুষ্টিমেয় কিছু মানুষ আন্তর্জাতিকভাবে, সারাবিশ্বে ইসলাম ধর্মকে এবং বাংলাদেশকে জঙ্গি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করছে।’

আ স ম ফিরোজ বলেন, আমরা এ দেশকে কোনোভাবেই জঙ্গিরাষ্ট্রে পরিণত হতে দিতে চাই না। আমরা চাই সত্যিকারের ইসলাম ও মহানবীর ইসলাম যাতে কার্যকর হয়। ইসলাম আছে, ইসলাম থাকবে এবং বাংলাদেশে চিরদিন মুসলমানদের স্বার্থ রক্ষা হবে।

রাজশাহী বার্তা/admin

এই বিভাগের আরও খবর