চাঁপাইনবাবগঞ্জে চাঁদা না পেয়ে ব্যবসায়ীর উপর হামলা, প্রাণনাশের হুমকি

সময়: 10:54 pm - May 14, 2020 | | পঠিত হয়েছে: 461 বার

নকশীকাঁথা ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদা না পেয়ে মধ্যরাতে বাড়িতে হামলা হয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জে। গত ৬ মে বুধবার রাত আনুমানিক ১ টার দিকে হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন নকশীকাঁথা ব্যবসায়ী মো. সেমাজুল ইসলাম।

শিবগঞ্জ উপজেলার ঘোড়াপাখিয়া ইউনিয়নের দেবত্তর গ্রামে এই হামলাটি হয়। হামলাকারীরা প্রাণনাশের হুমকি দেয়ায় নিরাপত্তা হুমকিতে রয়েছে সেমাজুল ইসলাম ও তার পরিবার। সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আলমগীর হোসেনের নিকট ব্যক্তিগত অভিযোগ করেছেন, সেমাজুল ইসলামের জামাই। আহত ব্যবসায়ী সেমাজুল ইসলাম ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৬ মে বুধবার রাত আনুমানিক ১ টার দিকে হঠাৎ করে ২০-২৫ জনের একটি দল সেমাজুল ইসলামের বাড়িতে ইটপাটকেল ছুঁড়তে থাকে।

এসময় একই গ্রামের আইস উদ্দিন বাবুর ছেলে পশু চিকিৎসক ডা. আজিজুল দরজায় নক করে ও ফোন করে সেমাজুল ইসলামকে বাইরে আসতে বলে। তিনি বাইরে আসলে দেবত্তর গ্রামের এনতাজ আলীর ছেলে সোহেল বলে, তোর ভাইকে এনে দে, সে আমাদের বিরোধী পক্ষের সাথে কাজ করছে। সেমাজুল ইসলাম ভাইয়ের কথা জানেন না বললেই তারা মারধর শুরু করে। এ সময় তার মাথা ফেটে যায়, হাতে ও পিঠে আঘাত পায় এবং মাথায় ৫টি সেলাই হয়।

সেমাজুল ইসলাম আরো জানান, হামলার সময় তাদের হাতে রড, লাঠি, চাকু, ছুরি ছিলো ও সে সময় কয়েকটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটায় তারা। ঘোড়াপাখিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও মাদক ব্যবসায়ী মো. মমিন নির্দেশনায় ও সোহেলের নেতৃত্বে এই হামলাটি হয়েছে। হামলায় আরো অংশগ্রহণ করে, সোহেলের ভাই এরশাদ, একই গ্রামের তাজেমুলের ছেলে আজম, বাবু মন্ডলের ছেলে হারুন আলী, তার ভাই বেলাম আলী, ভবানীপুর গ্রামের শরীয়তসহ আরো অন্তত ১৫-২০ জন। হামলার পর, সেমাজুল ইসলাম ও তার ভাইকে কোপাতে পারলে ২০ লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করে সোহেল জানিয়ে সেমাজুল বলেন, তাদের সাথে আমার ব্যক্তিগত কোন শত্রুতাও নেয়। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে তারা আমার কাছে বিভিন্ন অযুহাতে চাঁদা নিয়েছে। এবার না পাওয়ার কারনেই এই হামলাটি হতে পারে, তাছাড়া আর কোন কারন দেখি না। প্রত্যেকটা মূহুর্ত এখন আতঙ্ক আর উৎকন্ঠার মধ্যে কাটছে। এমনকি বাড়িতেও অবস্থান করতে পারছি না।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এখন তারা হন্নে হয়ে আমার সেমাজুল ইসলামকে খুঁজে বেড়াচ্ছে। বাগানে একটি তাবু করে বিভিন্ন দেশী অস্ত্র ও বোমা নিয়ে অবস্থান করছে তারা। জীবণনাশের হুমকি দিয়ে রেখেছে। এমনকি হামলার দিন, সেমাজুলের পরিবারের সদস্যদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো ও হাত-পা কেটে নেয়ার হুমকি দেয়।

অভিযুক্ত হামলার মদদদাতা ও আ.লীগ নেতা মমিন সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এমন কোন ঘটনার সাথে আমি বা আমরা কেউ ছিলাম না। তবে আনিত অভিযোগ আইনগতভাবে মোকাবেলা করা হবে বলে জানান মমিন।

রাজশাহী বার্তা/admin

এই বিভাগের আরও খবর