শিবগঞ্জ সোনালী ব্যাংকের সামনে করোনার সংক্রামক বিস্তার রোধে নিয়মের কোন বালায় নেই
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত সোনালী ব্যাংকেই মানা হচ্ছেনা সামাজিক দুরত্ব। গত ৩ দিন থেকে গাদাগাদি করে গ্রাহকরা ব্যাংকের সামনে টাকা উত্তোলনের জন্য অপেক্ষা করছেন।
সামাজিক দুরত্ব তো দুরের কথা গ্রাহকদের চাপে অনেকেই অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। অনেকের মুখে মাক্স বা হ্যান্ড গ্লোবস পর্যন্ত নেয়।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বৃদ্ধ ক্ষোভের সাথে জানান, তারা চাকুরি শেষ করে পেনসন তুলতে সকাল ৯টা থেকে লাইনে দাড়িয়ে আছেন।অনেক গ্রাহকের কারনে তারা বাধ্য হচ্ছেন লাইনে দাড়িয়ে টাকা তুলতে। লাইনে বিশৃঙ্খল অবস্থা যেন না হয় এজন্যই কেউ কাউকে ছাড় না দিতে সামাজিক দুরত্ব মানা হচ্ছেনা বলে দাবী তাদের।
এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ স্নাতক মহাবিদ্যালয়ের প্রভাষক গোলাম মোস্তফা মামুন জানান, ভেতরে নিয়ম মানা হলেও বাইরে এ অবস্থার জন্য কর্তৃপক্ষ ও গ্রাহকরা দায়ী। সামাজিক দুরত্ব ও মাক্স পড়ার নিয়ম না মানলে টাকা দেয়া হবেনা বা আগে আসার ভিত্তিতে একটি তালিকা করে সে তালিকা অনুযায়ী গ্রাহকদের ডেকে টাকা দেয়ার জন্য ব্যাংকের আনসারগণ যদি দায়িত্ব পালন করেন তবে এ সমস্যা থেকে উত্তোরন হতে পারে।তিনি আরও জানান, এখন এ সমস্যা প্রশাসন সমাধান না করতে পারলে কয়েকদিন পরে বেসরকারী শিক্ষকদের বেতন ভাতা তোলার সময় সমস্যাটি আরও প্রকোট আকার ধারন করবে।
বিষয়টি জানতে সোনালী ব্যাংক শিবগঞ্জ শাখার শাখা ব্যবস্থাপক মোঃ পিয়াউল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, ব্যাংকের ভেতরে তারা নিয়ম মেনে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে স্প্রে করার কর সামাজিক দুরত্ব মেনে গ্রাহকদের ভেতরে প্রবেশ করাচ্ছেন।বাইরের বিষয়টি দেখার জন্য শিবগঞ্জ থানা ও প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত: শিবগঞ্জ সোনালী ব্যাংকে ১৫ ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার বিধবা ,বয়ষ্ক,প্রতিবন্ধি. পেনসন ভাতা , সরকারী ও বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং প্রশাসনের কয়েক লক্ষ গ্রাহক টাকা উত্তোলন করে থাকেন।
রাজশাহী বার্তা/Asfraful Islam