চাঁপাইনবাবগঞ্জে সুস্থ্যতা বাড়লেও সচেতন নন জেলাবাসী
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা জুড়ে প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে সুস্থ্যতার হার বাড়লেও এই ভাইরাসে যে কেউ যে কোন সময় উপসর্গহীনভাবে আক্রান্ত হতে পারেন এমন কোন সচেতনতা জেলাবাসীর মধ্যে লক্ষ করা যাচ্ছেনা বলে মন্তব্য করেছেন সিভিল সার্জণ ডা. জাহিদ নজরুল চৌধুরী। সোমবার একান্ত এক সাক্ষাতকারে তিনি এই মন্তব্য করেন।
এ সময় তিনি এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, গত ১১ জুন বৃহস্পতিবার রাজশাহীতে শনাক্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সদর উপজেলার লাহারপুরবাসী ২১ বছর বয়সের ট্যাক্স কর্মচারীকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করায় জেলায় গত ১৪ জুন রোববার পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছেন মোট ৮০ জন। এর মধ্যে ৪৭ জনকে সূস্থ্য ঘোষণা করা হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় এখন রোগি সংখ্যা ৩৩ জন। এছাড়া আরও কয়েকজনকে ২/৩ দিনের মধ্যে সূস্থ্য ঘোষণা করা হবে।
জেলায় এ পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ৮০ জনের মধ্যে সদর উপজেলার ২৭ জন, শিবগঞ্জ উপজেলার ১৪ জন, গোমস্তাপুর উপজেলার ১৭ জন, নাচোল উপজেলার ১২ জন ও ভোলাহাট উপজেলার ১০ জন রোগি রয়েছেন। এদিকে ১৩ জুন শনিবার শিবগঞ্জ উপজেলায় আরও ৫ জনকে সূস্থ্য ঘোষণার মধ্য দিয়ে সদর উপজেলায় ২৪ জন, শিবগঞ্জ উপজেলায় ৭ জন, গোমস্তাপুর উপজেলায় ৫ জন, নাচোল উপজেলায় ৭ জন এবং ভোলাহাট উপজেলায় ৪ জন মোট ৪৭ জন সূস্থ্য ঘোষিত হলেন।
আর বাকি ৩৩ জন আক্রান্তের মধ্যে সদরে রয়েছেন ৩ জন, শিবগঞ্জে রয়েছেন ৭ জন, গোমস্তাপুরে রয়েছেন ১২ জন, নাচোলে রয়েছেন ৫ জন ও ভোলাহাটে রয়েছেন ৬ জন রোগি। এদিকে করোনাভাইরাস শনাক্তের জন্য এ পর্যন্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা থেকে ২,৫৮৩ টি নমূনা পাঠানো হলেও ফলাফল পাওয়া গেছে ২,২৭১ টি নমুনার। যার মধ্যে নেগেটিভ রিপোর্ট এসেছে ২,১৯৩ টি নমুনার এবং পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে ৭৯ টি নমুনার। তবে এখনও ৩১১ টি নমূণার রিপোর্ট আসেনি।
তবে সিভিল সার্জন আরও জানান, জেলায় এ পর্যন্ত শনাক্তদের বেশির ভাগই ‘উপসর্গহীন’। সূস্থ্যদের প্রায় সকলেই বাড়িতে থেকে সূস্থ্য হয়েছেন। বর্তমান রোগিরা নিজ আবাসস্থলে কোয়ারান্টাইনে রয়েছেন এবং ভাল আছেন। জেলায় আইসোলেশনে রয়েছেন ১৩ জন। আর জেলায় এ পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা না গেলেও জেলাবাসীকে অপ্রয়োজনে বাড়ির বাইরে না যাওয়া, মাস্ক ব্যবহার করা, বাইরে থেকে বাড়িতে প্রবেশের পর সাবান দিয়ে সময় নিয়ে হাত পরিস্কার করা, জনসমাগম পরিহার করাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, এ পর্যন্ত সদর উপজেলা থেকে নমুণা সংগ্রহ করা হয়েছে ৮১৮ টি, শিবগঞ্জ উপজেলা থেকে নমুণা সংগ্রহ করা হয়েছে ৪৭৭ টি, গোমস্তাপুর উপজেলা থেকে নমুণা সংগ্রহ করা হয়েছে ৪২৬ টি, নাচোল উপজেলা থেকে নমুণা সংগ্রহ করা হয়েছে ৪৪৭ টি ও ভোলাহাট উপজেলা থেকে নমুণা সংগ্রহ করা হয়েছে ৪১৫ টি। জেলাব্যাপী আরও নমূনা সংগ্রহ করা হচ্ছে।
রাজশাহী বার্তা/admin